আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন মৌসুমে প্রথম টেস্টে দুর্দান্ত জয় তুলেছে বাংলাদেশ। তাতে সেঞ্চুরি করা নাজমুল হোসেন শান্ত, ১০ উইকেট নেয়া তাইজুল ইসলামদের র্যাঙ্কিংয়ে বড় ধরনের উন্নতি হয়েছে। বড় লাফটি দিয়েছেন সিলেট টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৮৬ রান করা ডানহাতি ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। শান্তরও বেশ উন্নতি হয়েছে, তাইজুল ক্যারিয়ারসেরা র্যাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছেন।
সিলেটে প্রথম ইনিংসে ১২ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৭ রানের সুবাদে চারধাপ উপরে উঠেছেন মুশফিকুর রহিম। তার অবস্থান এখন সেরা ২০-এ। বড় লাফ দিয়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি (১০৫) ও প্রথম ইনিংসে ৩৭ করা অধিনায়ক শান্ত, ১৩ ধাপ এগিয়ে তার অবস্থান এখন ৪২-এ।
দুই ইনিংসে ৩৭ ও ৪০ রান করা মুমিনুল হকের একধাপ উন্নতি হয়েছে। বাঁহাতি ব্যাটারের অবস্থান ৫৩তে। বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে বড় লাফটি দিয়েছেন ওপেনার জয়। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটার ১৯ ধাপ এগিয়ে ৬৫তে চলে এসেছেন। চার ধাপ উন্নতি হয়েছে উইকেটকিপার-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানেরও, তার অবস্থান ৭৮। উন্নতি হয়েছে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজেরও।
ব্যাটারদের সাথে উন্নতির দেখা পেয়েছে বোলাররাও। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ারসেরা ১৪তে উঠে এসেছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের পর দ্বিতীয় ইনিংসের ৬ উইকেট তাকে সেরা অবস্থান দিয়েছে।
দুই ইনিংসে দুই উইকেট নিয়ে বলে ও অপরাজিত ফিফটিতে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে দুধাপ উন্নতি করেছেন অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। বোলিংয়ে তার অবস্থান এখন ২৩-এ, অলরাউন্ডারদের মধ্যে আছেন ১৩তে। দুই ইনিংসে তিন উইকেট নেয়া নাঈম হাসানের ৭ ধাপ উন্নতি হয়েছে। তার অবস্থান এখন ৪৯-এ। ৮ ধাপ এগিয়ে পেসার শরিফুল ইসলামের অবস্থান ৬৭তে। বোলিংয়ে সেরা ১০০-এর মধ্যে ঢুকেছেন মুমিনুল হক, তার অবস্থান ৯০-এ।
অবশ্য না খেলেই টাইগারদের চার বোলারের উন্নতি হয়েছে। দুধাপ এগিয়েছেন টাইগারদের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পাঁচ ধাপ এগিয়েছেন ডানহাতি পেসার ইবাদত হোসেন। তাসকিন আহমেদ এবং খালেদ আহমেদের ৭ ধাপ করে উন্নতি হয়েছে।
ব্যাটিংয়ে যথারীতি শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন এবং বোলিংয়ে ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা।