শ্রীলঙ্কা, ভারত ও মালদ্বীপকে হারানোর পর সমীকরণ দাঁড়িয়েছিল নেপালের বিপক্ষে জয় অথবা ড্র হলেই চলবে। মিলবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের টিকিট। নেপাল তরুণদের বিপক্ষে ড্র করে কাজটা সহজেই সেরে ফেলেছে লাল-সবুজের দল। আসরে অপরাজিত এবং প্রথম দল হিসেবে নিশ্চিত করেছে শিরোপার মঞ্চে খেলা।
মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে তানভীর হোসেনের দল। টেবিলে ৪ ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করল বাংলাদেশ।
গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় বা ড্র করলেই ফাইনালে যাবে স্বাগতিক ভারত। ফাইনাল ৫ আগস্ট একই মাঠে। খেলা বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়।
ফাইনালের টিকিট কাটতে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না নেপালের। ম্যাচে শারীরিক ভাষায়ও এগিয়ে ছিল নেপালিরা। আক্রমণ, বল দখল আর গোলে শট নেয়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে। শেষ পর্যন্ত শিরোপার মঞ্চ থেকে দূরেই থাকতে হল আইয়ুস গুলহানের দলকে।
প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিল নেপাল। বাংলাদেশের স্ট্রাইকাররাও ছিল দুর্দান্ত। বিরতির আগ পর্যন্ত দুদলকেই গোলশূন্য থাকতে হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকে আক্রমণের ধার বাড়ান পিয়াস-মিরাজুলরা। ৬২ মিনিটে মেলে কাঙ্ক্ষিত জালের দেখা। বক্সের ভেতরে সতীর্থের পাঠানো বলে আলতো টোকায় নেপালের জাল খুঁজে নেন মোহাম্মদ পিয়াস।
বেশি সময় লিড ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। পাঁচ মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে নেপালকে সমতায় ফেরায় নিরাঞ্জন। বদলি নামা স্ট্রাইকার ৬৭ মিনিটে ১-১ সমতায় আনার পর আরও বেশকিছু আক্রমণ শানায় দুদল।
শেষ মুহূর্তে দারুণ কিছু সুযোগের ভালো সমাধান টানতে পারেননি পিয়াস-মিরাজুলরা। ড্রতেই সমাপ্তি হয় ম্যাচের।
বয়সভিত্তিক সাফের প্রতিযোগিতার আগের আসরগুলো হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৮ ও ১৯ বয়সীদের নিয়ে। ২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া আসরে এপর্যন্ত সেরা হওয়ার স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সীদের নিয়ে হওয়া প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল লাল-সবুজরা। কাঠমান্ডুর সেই সাফল্য ভুবনেশ্বরে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ তানভীর হোসেনের দলের।