বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে আলোচিত নাম এখন ইয়ারজান বেগম। অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের গোলরক্ষক ভারতের বিপক্ষে সাফে শিরোপা জয়ে রেখেছেন অসামান্য ভূমিকা। ফাইনালে টাইব্রেকারে তিন শট ঠেকানো ফুটবলকন্যার পাদপ্রদীপের আলোয় আসার পর উঠে আসছে একের পর এক অজানা গল্পও। অতি অসচ্ছল পরিবারে বেড়ে ওঠা উদীয়মান তারকার উত্থানে মূল কারিগর পঞ্চগড়ের ‘টুকু ফুটবল একাডেমি’।
পঞ্চগড়ে কোচ আবু তারেক টুকু নিজ উদ্যোগে ফুটবল একাডেমি গড়ে তুলেছেন। ইয়ারজানের খেলা দেখে প্রতিভা চিনতে মোটেও ভুল করেননি। অনুশীলনে নজরকাড়া নৈপুণ্য দেখানো ইয়ারজানকে প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিয়েছেন, আগলে রেখে অনেক বড় হওয়ার চওড়া স্বপ্নটা দেখিয়েছেন। অভাব অনটনের কারণে প্রশিক্ষণে সমস্যা সৃষ্টি হওয়া মাত্র আর্থিক সহায়তাও করেছেন।
সৃষ্টিশীল ফুটবল কোচের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে সাফজয়ী ইয়ারজানের কার্পণ্য নেই। আবু তারেক টুকুকে বড় ভাইয়ের মতো সম্মান প্রদর্শনের কথা চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে আলাপচারিতায় জানালেন উদীয়মান তারকা।
‘উনি আমার কোচ। তবে কখনো তাকে কোচ ভাবিনি। যেহেতু আমার ভাই নাই, তাই ভাইয়ের মতোই দেখি। উনি আমাকে বোন হিসেবেই দেখাশোনা করেছেন। আমার পরিবারেরও উনি অনেক দেখাশোনা করেছেন। ওনাকে ধন্যবাদ জানাই। আসলে ধন্যবাদ জানালে ওনাকে ছোট করা হবে।’
‘টুকু ফুটবল একাডেমি থেকে আমার ফুটবল জীবনটা শুরু করি। ১০ জন মেয়ে আর ২৫ জন ছেলে একসাথে অনুশীলন করতাম। এখানে আরও অনেক খেলোয়াড় তৈরি হবে।’
পঞ্চগড়ের খোপরাবান্দি গ্রামে ইয়ারজান বেগমের বাড়ি। সেখান থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে জেলা শহরে গিয়ে অনুশীলন করতেন। যাতায়াতের টাকা মা দিতে না পারলে তার ভরসার জায়গাটা ছিলেন কোচ টুকু। বঙ্গমাতা ফুটবলে খেলার পর ২০২২ সালে ঢাকা লিগে খেলা এ গোলরক্ষকের উত্থানের নেপথ্য নায়ক তিনি, তার হাতে গড়া একাডেমি এখন আলোচনার কেন্দ্রে।