ডলারের ঘাটতি থাকার কারণে আমদানিকৃত জ্বালানির জন্য অর্থ প্রদান করতে রীতিমত লড়াই করছে বাংলাদেশ। দেশের রাষ্ট্রীয় পেট্রোলিয়াম কোম্পানির ৩০০ মিলিয়ন ডলারেও বেশি বকেয়ার কারণে জ্বালানির মজুদ আশঙ্কাজনক হ্রাস পেয়েছে।
দেশে জ্বালানির সমস্ত আমদানি এবং বিপণন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি দেশীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ভারতের সাথে থাকা সকল বকেয়া রুপিতে নিষ্পত্তি করার অনুমতি দিয়েছে।
দা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকেই মূলত দেশের ডলারের রিজার্ভ এক তৃতীয়াংশেরও বেশি কমে গিয়ে ১৭ মে এর মধ্যে ৩০ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ জ্বালানি আমদানির ওপর অত্যধিক নির্ভরশীল একটি দেশ। জ্বালানির ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে ফলে দেশের রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) একটি চিঠিতে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে বলেছে, দেশীয় বাজারে বৈদেশিক মুদ্রা/ডলারের ঘাটতি এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্কিন ডলারের চাহিদা মেটাতে না পারার কারণে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সময়মতো আমদানির জন্য অর্থ প্রদান করতে পারছে না।
সেখানে আরও বলা হয়, মে মাসের জন্য প্রস্তুত আমদানি সময়সূচী অনুযায়ী জ্বালানী আমদানি করা সম্ভব না হলে, জ্বালানির মজুদ আশঙ্কাজনক হারে হ্রাসের সাথে সাথে সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে।
এপ্রিল মাসের আরেকটি চিঠিতে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি জ্বালানি সরবরাহকারী হয় নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কম কার্গো পাঠিয়েছে অথবা সরবরাহ বন্ধ করার জন্য হুমকি দিয়েছে।
বছরের পর বছর ধরে, বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি হিসেবে বিবেচিত, কিন্তু যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এর আমদানি বিল এবং চলতি হিসাবের ঘাটতি ভয়াবহ রকমের বেড়েছে।