আক্রমণ, গোলে শট কিংবা বল পাসিংয়ে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৩৪ ধাপ এগোনো তুর্কেমিনিস্তানের বিপক্ষে সমানে-সমান লড়েছে বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়ার পাঁচ মিনিটের মাথায় সমতায় ফিরলেও শেষ সময়ের গোলে হারের হতাশা সঙ্গী হয়েছে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের ম্যাচটি ২-১ গোলে হেরেছে হাভিয়ের কাবরেরার দল। আলটিমিরাট আন্নাডুরডিয়েওর গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সমতায় ফেরান মোহাম্মদ ইব্রাহিম। শেষ দিকে তুর্কেমিনিস্তানের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন আর্সলানমিরাত আমানোও।
স্কোরলাইনের বিচারে হেরে গেলেও আক্রমণ, বল দখল ও পাসিংয়ে দাপট দেখিয়েছে জামাল ভূঁইয়ার দল। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ৪৭ শতাংশ বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে গোলে শট নিয়েছে ৯টি, লক্ষ্যে ছিল ৫টি শট। বিপরীতে ১০টি শটের ৮টি লক্ষ্যে ছিল তুর্কেমিনিস্তানের। নিজেদের আক্রমণগুলোর ফিনিশিং টানতে পারলে ফলাফল অন্যরকমও হতে পারত।
ম্যাচের শুরুতে খেলতে নেমেই পিছিয়ে পরে বাংলাদেশ। ম্যাচের সাত মিনিটের মাথায় আনিসুর রহমান জিকোকে দর্শক বানিয়ে বল জালে পাঠান আলটিমিরাট আন্নাডুরডিয়েও। দেড় মিনিটের ব্যবধানে তিনটি কর্ণার কিক থেকে সুবিধা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় তুর্কেমিনিস্তান।
খুব বেশি সময় লিড ধরে রাখতে পারেনি আর্সলানমিরাতের দল। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে ইব্রাহিমের গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ১২ মিনিটে ডি বক্সে লম্বা থ্রো বাড়ান বিশ্বনাথ। শুরুতে রাকিবের গোলে রাখা হেড ঠেকিয়ে দেন তুর্কিমিনিস্তানের গোলরক্ষক ওরজমুহাম্মেদভ ম্যামেট। ফিরতি হেডে বল জালে জড়িয়ে উল্লাসে মাতেন ইব্রাহিম। স্প্যানিশ কোচ কাবরেরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম গোল পেল বাংলাদেশ দল।
সমতায় ফিরে উজ্জ্বীত ফুটবল খেলে লাল-সবুজের দল। একের পর এক আক্রমণে তটস্থ রাখে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগ। তুর্কেমিনিস্তান পাল্টা আক্রমণে উঠলেও তাদের খুব বেশি সুযোগ দেননি বিশ্বনাথ-টুটুলরা। দুদলের বেশ কিছু আক্রমণ করলেও বিরতির আগে স্কোরলাইন অপরিবর্তিত থাকে।
দ্বিতীয়ার্ধে গোছানো ফুটবল খেলে প্রতিপক্ষ। আক্রমণের ধার বাড়ানোর পাশাপাশি তুর্কেমিনিস্তান রক্ষণেও দারুণ কিছু সেইভ করেন। ৫৭ মিনিটে ডি বক্সে বল ফাঁকায় পেয়েও ব্যর্থ হন ইয়াসিন আরাফাত। ফাহিমও কয়েকটি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। প্রতি আক্রমণে ৭৭ মিনিটে লিড বাড়িয়ে নেয় প্রতিপক্ষ। ফাঁকায় পেয়ে যাওয়া বল আলতো টোকায় জালে জড়ায় আর্সলানমিরাত আমানোও।
ম্যাচের বাকি সময়ে বেশকিছু সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। শেষ দিকে জামাল ভূঁইয়ার ক্রস পুরোপুরি ফাঁকায় পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি বাদশা। যোগ করা সময়ে ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছিল তুর্কেমিনিস্তান। গোলটি অফসাইড হওয়ায় ২-১ গোলে হারের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।