চলচ্চিত্র পরিচালকদের স্বার্থ সংরক্ষণে গঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর (শুক্রবার)। ২০২৩-২৪ মেয়াদের জন্য আসন্ন এই নির্বাচনে জন্য মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) পরিচালক সমিতি থেকে নির্বাচনী তফসীল ঘোষণা করা হবে।
এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন আব্দুল লতিফ বাচ্চু। অন্য দুই কমিশনার হিসেবে থাকবেন চিত্রপরিচালক বি এইচ নিশান এবং শামসুল আলম।
পরিচালক সমিতির আসন্ন নির্বাচনে দুটি প্যানেলে প্রার্থী হচ্ছেন নির্মাতারা। একটি প্যানেলে সভাপতি পদে মুশফিকুর রহমান গুলজার ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হচ্ছেন জাকির হোসেন রাজু। একই প্যানেলে সহ-সভাপতি পদে লড়ছেন ছটকু আহমেদ এবং উপ মহাসচিব পদে অপূর্ব রানা।
অন্যটি প্যানেল থেকে সভপতি পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন কিংবদন্তী পরিচালক কাজী হায়াৎ। তার প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী থাকছেন শাহীন সুমন।
পরিচালক সমিতির বর্তমান সভাপতি সোহানুর রহমানকে আবারও একই পদে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা শোনা গেলেও সোমবার সন্ধ্যায় তিনি জানান, নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।
পরিচালক সমিতির উপ মহাসচিব অপূর্ব রানা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ৫ ডিসেম্বর থেকে আসন্ন নির্বাচনের নমিনেশন ক্রয় শুরু হবে, জমা দিতে হবে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে।
জীবন সংসার, মনে প্রাণে আছো তুমি, আমার প্রাণের প্রিয়া, পোড়ামন-এর মতো জনপ্রিয় ছবির পরিচালক জাকির হোসেন রাজু চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন, তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন। বলেন, জয়ের ব্যাপার আমি আশাবাদী এবং জয়ী হওয়ার উদ্দেশ্যেই অংশ নিচ্ছি। আমার প্যানেলের সভাপতি পদে থাকবেন মুশফিকুর রহমান গুলজার।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রাপ্ত এই নির্মাতা বলেন, গত ১০ বছরে পরিচালক সমিতিতে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নয়ন হয়নি। যে কোনো পরিচালকের কাছে জিজ্ঞেস করলে কেউ কোনো বিশেষ কোনো পরিবর্তন দেখাতে পারবে না। চোখে পড়া এবং উল্লেখযোগ্য কিছু করার উদ্দেশ্যে নির্বাচনে জয়ী হয়ে নেতৃত্ব দিতে চাই। এমন কিছু করতে চাই যেই অর্জনটা একবাক্যে যে কেউ বলতে পারবেন।
পরিচালক সমিতির বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহীন সুমন আবারও একই পদে নির্বাচনে করছেন। চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বলেন, প্রতিবার বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও শেষ পর্যন্ত সবকিছুর বাস্তবায়ন হয় না। এতে বেশীরভাগই আশাহত হন। এবার যাতে তা না হয় সেই জন্য নির্বাচন করছি।
শাহীন সুমন বলেন, কাজী হায়াত ভাইয়ের সঙ্গে নির্বাচন করছি কারণ তিনি সবার অভিভাবক। তার যেমন ভোকাল আছে তেমনি সারাদেশে সবাই একনামে চেনেন। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও তাকে একনামে চেনেন। তিনি কোনো কিছু দাবী করলে সেটা কেউ ফেলতে পারবে না। তাই হায়াত ভাই পাশ করলে তাকে নিয়ে যে কোনো জায়গায় গিয়ে কথা বলতে পারবো। তবে আমরা এবার সর্বপ্রথম যেটা করবো সেটা পরিচালকদের আবাসন ব্যবস্থা।
ঢাকাই ছবির এই ড্যাসিং ডিরেক্টর বলেন, প্রতিটি সেক্টরের ক্রিম মানুষদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলেও পরিচালকদের নেই। আমরা এটা সবার আগে ফোকাস করবো। আমাদের প্যানেল অনেক আগেই চূড়ান্ত করেছি। সবার ভালোবাসা আমার সঙ্গে সবসময় ছিল। আশা করছি আগামী নির্বাচনেও আমাদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসবে।