সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের জাতীয় দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দের রেশ কাটার আগেই বাংলাদেশের ফুটবলে আরেকটি জয়ের খবর। এবার ছেলেদের দল ফিফা প্রীতি ম্যাচে র্যাঙ্কিংয়ে ১৮ ধাপ এগিয়ে থাকা কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় তুলেছে।
বৃহস্পতিবার ডেচো ন্যাশনাল হেরিটেজ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৪ মিনিটেই গোলের দেখা পেতে পারত বাংলাদেশ। বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রোয়ে বল পান জামাল ভূঁইয়া। স্বাগতিক গোলরক্ষক অনেকটা সামনে এগিয়ে থাকায় প্রায় ফাঁকায় বল পেয়েও ডানপায়ের শট লক্ষ্য বরাবর নিতে পারেননি তিনি, পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায় বল।
ম্যাচের ১৯ মিনিটে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার সেউত বারাং ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের দুরন্ত শট নিয়েছিলেন। লাফিয়ে উঠে ডান হাত দিয়ে দারুণভাবে বল ঠেকিয়ে কর্নারের বিনিময়ে বাংলাদেশকে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।
২৩ মিনিটে বাংলাদেশকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন। প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের মাঝে থাকা স্ট্রাইকার মতিন মিয়া দারুণ ক্রসে বক্সে থাকা রাকিবকে খুঁজে নেন, রাকিব মাটি কামড়ানো শটে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যে জড়িয়ে দেন বল। গোল পাওয়ার পর রাকিব ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মতো সাই-সেলিব্রেশন করেন।
এরপর ২৬ মিনিটে কম্বোডিয়ার বারাংয়ের ডান পায়ে ঠিকঠাক শট নিতে না পারায় রক্ষা পায় হাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। ৩১ মিনিটে স্বাগতিকদের ১১ নম্বর জার্সিধারীর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে বক্সের ভেতর কম্বোডিয়ার ডিফেন্ডার রেউং পা ছোঁয়াতে না পারায় লিডে থেকেই বিরতিতে যায় লাল-সবুজের দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার পরিবর্তে মিডফিল্ডার সোহেল রানাকে নামান ক্যাবরেরা। ৬৩ মিনিটে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের দ্রুতগতির শট ফিস্ট করে বাংলাদেশকে গোল হজম থেকে রক্ষা করেন জিকো।
খেলার ৭৫ মিনিটে বক্সের বাঁ-প্রান্ত থেকে মতিন মিয়ার শট বারের উপরের অংশে লাগলে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়নি। পরের মিনিটে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের শট ঠেকান জিকো।
ম্যাচের বাকি সময় কম্বোডিয়া একের পর এক আক্রমণ করে গেলেও বাংলাদেশ লিড ধরে রাখতে সক্ষম হয়। তাতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারে জামালের দল।