বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিং ও অর্থ চুরি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: বাংলাদেশ ব্যাংকে কোন ফায়ারওয়াল ছিল না। তাই সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এজন্য হ্যাকিংটা হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের গবেষণা উইং সিআরআই (সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন) আয়োজিত লেটস টক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিলো: স্মার্ট বাংলাদেশ করলে কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি থাকে, হ্যাকিং হয়,বাংলাদেশ ব্যাংকেও সিকিউরিটি হ্যাকিং হয়েছিল। এছাড়া সরকারি সাইট থেকেও তথ্য চুরি হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে নেক্সট জেনারেশনের জন্য আপনারা কী পদক্ষেপ নেবেন?
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন: আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স যেমন আমাদের জন্য একটা নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে পাশাপাশি সমস্যাও সৃষ্টি করে। আর হ্যাকিংয়ের ব্যাপারে বলব বাংলাদেশ ব্যাংক যখন ডিজিটালাইজড করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আমাদের আসার আগে। এটা বোধহয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা নিয়ে শুরু হয়েছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে কোনো ফায়ারওয়াল ছিল না। তাই সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এ জন্য হ্যাকিংটা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন: যে কোন ইস্যুতে আমাদের সিকিউরিটিটা ঠিক আছে কি না বা কোন পদ্ধতিতে করা যায় সেটা নিজেদেরই সতর্ক থাকতে হবে। এর বাইরে আমরা সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছি। তারপরও আমরা বলব যারা ব্যবহার করবে তাদের সচেতন থাকতে হবে।
গত শুক্রবার রাতে ধারণ করা অনুষ্ঠানটি প্রায় এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচার করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণদের ভাবনা ও তাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো জেনে নেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তাদের নানা প্রশ্নের জবাবও দেন।
২০১৮ সালে লেটস টক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো তরুণদের মুখোমুখি হন শেখ হাসিনা। এবারের অনুষ্ঠানে তিনি আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি এবং তরুণদের নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও নীতি নির্ধারণ বিষয়ে কথা বলেন।