এশিয়ান কাপ কোয়ালিফায়ারের তৃতীয় রাউন্ডে শুরুটা ভালো হল না বাংলাদেশের। ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্রয়ে স্মৃতি নিয়ে টুর্নামেন্টে নামা জামাল ভূঁইয়ারা বাহরাইনের সামনে দাঁড়াতেই পারলেন না, হেরে করলেন আসর শুরু।
বুধবার কুয়ালালামপুরের বুকিত জলিল স্টেডিয়ামে বাহরাইনের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। লাল জার্সিধারীদের হয়ে গোল দুটি করেছেন আবদুল্লাহ হারাম ও কামিল আল আসওয়াদ।
প্রথমার্ধে ৪২ মিনিটের মধ্যে দুই গোল হজম করে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। বাকি সময়ে দুদলের কেউই জালের দেখা পায়নি। টুর্নামেন্টে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যদের বাকি দুই ম্যাচ তুর্কমেনিস্তান ও স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে।
১১ জুন গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ১৪ জুন শেষ ম্যাচে স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে খেলবে লাল-সবুজের দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশের রক্ষণ চেপে ধরে বাহরাইন। দশম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। আনিসুর রহমান জিকোর দেয়াল ভাঙতে পারেনি। ২৪তম মিনিটে আবারও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়, ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেয়া আবদুল্লাহ হারামের দুর্দান্ত শট এবারও ফিরিয়ে দেন জিকো।
খেলার ৩১ মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে নেয়া জামাল ভূঁইয়ার শট গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। তিন মিনিট পর আব্দুল্লাহ হারামের গোলে লিড পেয়ে যায় বাহরাইন। কর্নার থেকে ফ্রি হেডার পেয়ে জালে বল জড়াতে ভুল করেননি এ ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধের শেষদিকে, ৪২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বাহরাইন। বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে স্কোরবোর্ডে নাম লেখান কামিল আল আসওয়াদ। যোগ করা সময়েও বিপদে পড়তে পারত বাংলাদেশ। এবারও ত্রাতা হন জিকো।
দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণাত্মক খোলস ছেড়ে কিছুটা বেরিয়ে আসে বাংলাদেশ। জালের দেখা না পেলেও একের পর এক আক্রমণে ব্যস্ত রাখে বাহরাইন রক্ষণকে। আক্রমণে পিছিয়ে থাকেনি বাহরাইনও।
ম্যাচের ৫৫ মিনিটে বাংলাদেশ গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন হারাম। জিকোর দুর্দান্ত প্রদর্শনীতে বিপদ থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ। ৭০ মিনিটের পর খেলার গতি কিছুটা কমে যায়। বাকি সময়ে আর গোল জড়ানি কোনো জালেই।