এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কাকে ১৮৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা টাইগাররা খেলেছে ভয়ডরহীন ক্রিকেট। চমক দেখিয়ে ওপেনিংয়ে নেমে ঝলক দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। তার দেখানো পথে হাঁটেন আফিফ-মোসাদ্দেকরা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে তীব্র গরমের মাঝে মিরাজ-আফিফ অসাধারণ সব শটে সচল রাখেন স্কোরবোর্ড, মাতিয়ে রাখেন গ্যালারি। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ১৮৩ রান। মরুর বুকে টি-টুয়েন্টিতে এটিই টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
ইনিংসের সুরটা ধরিয়ে দেন মিরাজ। মাঝে সাকিব হাল ধরেন। পরের ধাপে আফিফ-মাহমুদউল্লাহর অসাধারণ জুটি, আর শেষে মোসাদ্দেকের ক্যামিও এনে দিয়েছে বড় পুঁজি।
এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখকে বাদ দিয়ে নামানো হয় সাব্বির রহমান ও মিরাজের ওপেনিং জুটি। শুরু থেকেই দারুণ উদ্যম নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন তারা। ২৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে মিরাজ পাওয়ার প্লে’র দাবি মেটান পুরোপুরি।
তিন বছর পর জাতীয় দলে ফেরা সাব্বির দারুণ এক স্কুপে চার মেরে শুরু করেন। ফিয়ারলেস ক্রিকেট! যদিও টিকে থাকতে পারেননি। ৬ বলে ৫ রান করে আউট হন তৃতীয় ওভারে।
সাকিব নেমে শুরুতে সংগ্রাম করলেও পরে মানিয়ে নেন। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৫৫ রান।
পরের ওভারেই বোল্ড হন মিরাজ। তার ইনিংসে ছিল দুটি করে ও ছয়ের মার। মুশফিকুর রহিম ৫ বলে ৪ রান করে ফেরেন সাজঘরে। দ্রুত ২ উইকেট হারালেও দলকে চাপে পড়তে দেননি সাকিব। তিন চারে ২২ বল ২৪ রান করে অধিনায়ক যখন আউট হন, আফিফ হোসেন তখন পুরোপুরি থিতু।
একটু সময় নিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ক মারতে থাকেন একের পর এক বাউন্ডারি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আক্রমণাত্মক হতে একটু সময় নেন। দুজনে একই সময়ে জ্বলে ওঠেন। দেখান অসাধারণ ব্যাটিং ঝলক। পঞ্চম উইকেটে ৫৭ রানের জুটি আসে মাত্র ৩১ বলে।
২২ বলে ৩৯ রান করে আউট হন আফিফ। মারেন চারটি চার ও দুটি ছয়। মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ২৭ রান করেন। শেষটায় ঝড় তোলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। মাত্র ৯ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাসকিন আহমেদ ৬ বলে ১১ রানে অপরাজিত থাকেন।