সাকিব আল হাসান টেস্টে নেতৃত্বে ফিরেই সামনে পেয়েছিলেন আফগানিস্তানকে। নবীন টেস্ট খেলুড়ে দেশের কাছে ঘরের মাঠে হেরে সমালোচিত হয়েছিল বাংলাদেশ দল। স্পিননির্ভর আফগানদের বিপক্ষে চট্টগ্রামে প্রবল স্পিন-সহায়ক উইকেটে খেলার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। চার বছর পর মিরপুরে রশিদ-নবীদের বিপক্ষে আবারও টেস্টের লড়াইয়ে নামছে টিম টাইগার্স। আলোচনাও তাই উইকেট ঘিরে।
১৪ জুন শুরু সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি। মিরপুরের উইকেট যে এবার স্পিনিং হবে না, সেটি একরকম নিশ্চিত। কেননা আগের ভুল আর করতে চায় না বাংলাদেশ। ৪ বছর আগের সেই ম্যাচ ঘিরে আক্ষেপ এখনও আছে দল সংশ্লিষ্টদের মাঝে।
কেমন উইকেটে বাংলাদেশ খেলবে সেটি খোলাসা না করলেও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনের কথায় ইঙ্গিত পাওয়া গেল আগের ভুল থেকে শিখেছেন সবাই। যদিও চোটের কারণে খেলতে পারবেন না নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সহ-অধিনায়ক লিটন দাস নেতৃত্ব দেবেন।
হাবিবুল বাশার বললেন, ‘আমরা আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে যথেষ্ট পরিষ্কার। আমরা আসলে কেমন উইকেট চাই, কেমন উইকেটে খেলতে চাই, সেটা আমাদের কাছেই থাকুক। কারণ, অবশ্যই কোনো খেলার আগে তো আমরা ডিসক্লোজ করব না। মিরপুরের উইকেট কেমন হতে পারে বা না পারে সেটা সম্বন্ধে আমাদের খুব ভালো ধারণা আছে। সেভাবেই আমাদের মনের মতো করে উইকেট তৈরি করা হচ্ছে।’

‘বাংলাদেশ দলের দুইটা ডিপার্টমেন্টই ভালো। সাকিবের বোলিং তো বাংলাদেশ নিঃসন্দেহে মিস করবে। কিন্তু সাকিব ছাড়া তাইজুল আছে, মিরাজ আছে, তারাও যথেষ্ট ভালো বল করে টেস্ট ম্যাচে। আমাদের ফাস্ট বোলিং ডিপার্টমেন্টটা অনেক রিচ। আমাদের যেরকম দরকার, টিম অনুযায়ী কিন্তু ওইরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারি। সেটা নিয়ে অনেক আগেই চিন্তা-ভাবনা হয়ে গেছে।’
‘উইকেটটা কেমন হবে সেটা তো বলতে পারব না। আমাদের যে পরিকল্পনা সেটা আমাদের মধ্যেই থাক। সেটা ডিসক্লোজ করতে পারব না। আমার মনে হয়, আমরা এখন আত্মবিশ্বাসী দল। আফগানিস্তান খুব ভালো দল। তাদের সাথে শেষ টেস্ট ম্যাচ আমরা ভালো খেলিনি। হেরেছিলাম। এবারের ম্যাচটা ভালো খেলতে চাই। আমার মনে হয় এখন দলটা অনেকবেশি আত্মবিশ্বাসী। কোন উইকেটে খেলতে চাই, কোন উইকেটে খেলা উচিত আমরা পরিষ্কার। কাজেই যে সিদ্ধান্ত নেই, আমাদের অসুবিধা হবে না।’