চ্যানেল আই-এর আয়োজনে প্রতি বছরের মত এবারও উচ্চাঙ্গ সংগীতের মহাযজ্ঞ ‘বাংলা খেয়াল উৎসব’-এর ১১ তম আসরের পর্দা উঠলো।
গেল ১০ বছর ধরে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠান চ্যানেল আইয়ের উদ্যোগে সংস্কৃতির পরিশীলন উচ্চাঙ্গ সংগীতকে মানুষের কাজে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) চ্যানেল আই ছাদ বারান্দায় সন্ধ্যা ৫টা ১০ মিনিট নাগাদ শুরু হয়েছে এ উৎসব, আয়োজনটির পর্দা নামবে ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টায়। এবারের আয়োজনে চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্ত হয়েছে ‘বিকাশ’।
উদ্বোধনী উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, প্রয়াত আজাদ রহমানের সহধর্মিনী সেলিনা আজাদ, সংগীত শিল্পী ফেরদৌস আরা সহ সংগীত ব্যক্তিত্ব ও ওস্তাদ করিম শাহাবুদ্দিন, ডক্টর লিনা তাপসী খান, অধ্যাপক ডক্টর নাশিদ কামাল ছাড়াও প্রায় শতাধিক শিশু খেয়াল শিল্পীর পাশাপাশি খেয়াল উস্তাদরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাইখ সিরাজ বলেন, “গেল ১০ বছর ধরে চ্যানেল আইতে ‘বাংলা খেয়াল উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে যেটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। কেননা আমরা শুদ্ধ সংগীত চর্চার একটি অংশ হতে পারছি, সাধারণ মানুষের দ্বার প্রাপ্তে এই ‘বাংলা খেয়াল’কে পৌঁছে দিতে পারছি এটাই আমাদের জন্য প্রাপ্তি”।
তিনি আরো বলেন,“শুদ্ধ সংগীত বিকাশের বিকল্প কিছু নেই। দীর্ঘদিন ধরে চ্যানেল আই শুদ্ধ সংগীত বিকাশের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরসাথে একটা সময় এসে যুক্ত হন শ্রদ্ধেয় আজাদ রহমান। যিনি এক কথায় বাংলা খেয়ালের এই বাংলায় প্রবক্তা। তিনি আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু আমাদের সাথে আছেন তার অনুসারীরা। সবাই ‘বাংলা খেয়াল উৎসব’কে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন, সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।”
গুণী শিল্পী ফেরদৌস আরা বলেন,“বাংলা সংগীত কতোটা সমৃদ্ধ সেটা বাংলাদেশ দেখিয়ে দিতে পারছে। বাংলা খেয়ালের মতো একটা উৎসব প্রতি বছর চালিয়ে যাওয়া কম কথা নয়। এরজন্য চ্যানেল আইকে কৃতজ্ঞতা। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে শুদ্ধ সংগীতের এই চর্চা অব্যাহত রাখা সম্ভব হত না।”
নাশিদ কামাল বলেন,‘ওস্তাদ আজাদ রহমান বাংলা খেয়াল নিয়ে যে উদ্যোগ এবং স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেটা আমরা ধরে রাখবো।’
আজাদ রহমানের সহধর্মিনী সেলিনা আজাদ বলেন, “চ্যানেল আইয়ের প্রতি শ্রদ্ধেয় আজাদ রহমান যে বিশ্বাস রেখেছিলেন, তিনি প্রয়াত হলেও চ্যানেল আই সেটা সেভাবেই আয়োজন করছে। প্রতি বছর সুন্দরভাবে বাংলা খেয়াল উৎসব হচ্ছে। গানের মাধ্যমে তার স্বপ্নটুকুন পূরণ করতে পারছি আমরা, এরচেয়ে বড় পাওয়া আর হয় না।”
এ আয়োজন শুরু করেছিলেন সংগীতজ্ঞ প্রয়াত আজাদ রহমান। তাকে স্মরণেই এই করে উৎসবটি সরাসরি সম্প্রচার করছে চ্যানেল আই এবং অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করছেন অনন্যা রুমা।