সাউথ এশিয়ার দলগুলোর সঙ্গে অনেকদিন স্পষ্ট ব্যবধান গড়তে পারছিল না বাংলাদেশ। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তলানির দিকে অবস্থান দলটির। বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অবশ্য ভিন্ন চিত্র। সেমিফাইনালে ওঠার পর ফুটবল নিয়ে সবার আগ্রহ আবারও তুঙ্গে উঠেছে। দেশের মানুষের আবেগের বহিঃপ্রকাশ খানিকটা টেরও পাচ্ছে জামাল ভুঁইয়ার দল।
শনিবার আসরের অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী প্রতিপক্ষ কুয়েতের বিপক্ষে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ। বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে।
দেশের মানুষের যে দলের কাছে প্রত্যাশা ছিল না, শুক্রবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভূঁইয়া সেই সত্যটি তুলে ধরলেন। লাল-সবুজের দলের অধিনায়ক বললেন, ‘কেউ আমাদের কাছ থেকে কিছুই আশা করেনি। তবে আমাদের কোচরা লম্বা সময় ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে। সৌদিতে কয়েকমাস আগে ক্যাম্প হয়েছিল। সেখানে কাজ শুরু হয়েছিল। সত্যি কথা বলতে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমাদের উপর কেউ বিশ্বাস না রাখা নিয়ে বিস্মিত ছিলাম না। মানুষ বিশ্বাস না রাখলেও আমরা নিজেদের উপর আস্থা রেখেছিলাম। যার ফলে আমরা আজ এ অবস্থানে এসেছি।’
মালদ্বীপ ও ভুটানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে খেলার প্রাথমিক লক্ষ্য হাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যদের পূরণ হয়েছে। টানা দুই জয়ে মানুষের মাঝে ফুটবল নিয়ে তৈরি হয়েছে বাড়তি আগ্রহ। ফুটবলাররা পেতে শুরু করেছেন বাড়তি সমর্থন।
জামাল বলছেন, ‘সব মানুষ সমর্থন করছে। এটা মোটিভেশন হিসেবে কাজ করছে। জানি এটা (সাফল্য) আমাদের হাতেই আছে। বাংলাদেশের মানুষ সবাই প্রত্যাশা করে যে আমরা ফাইনালে যাব। যদি ইতিবাচক ফল আনতে পারি, তাহলে ফুটবলে আরও বেশি হাইপ তৈরি হবে। ফুটবল বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় কিছু।’