বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে খাল খননের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে কালিকাবাড়ি গ্রামের গাছা খালের দুই পাড়ের সুবিধাভোগী তিন গ্রামের সাধারণ মানুষ ও কৃষকেরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
তারা ‘খাল কেটে কৃষক বাচাঁও, ফসল বাড়াও’-শ্লোগান নিয়ে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়া ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য গাছা খালটি দ্রুত খননের দাবি জানান। এসময় কৃষক নাজমুল গাজী, এনছান খান, নয়ন বেগম, সেলিনা বেগম, ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান নান্না প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
বক্তারা বলেন, এই খালটি বিষখালী নদীর শাখা খাল হিসেবে একশত বছর ধরে রেকর্ডভুক্ত হয়ে আছে। খালটির পানি প্রবাহ সচল থাকাকালীন কালিকাবাড়ি, আমবাড়িয়া ও বাঁশবাড়িয়া গ্রামের কমপক্ষে এক হাজার একর জমিতে বছরে কয়েক দফা ফসল উৎপাদন করতে পারতেন কৃষকেরা। কিন্তু খালটি পলি পড়ে ভরাট হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১০-১২ বছর ধরে এ এলাকার জমিতে ফসল উৎপাদন কমে গেছে। বছরে একবার মাত্র আমন ধান ছাড়া অন্য কোন ফসল ফলানো যাচ্ছে না।
শত বছরের পুরানো জনগুরুত্বপূর্ণ এ খালে জমেছে কচুড়িপনা। পানি পঁচে গিয়ে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ ও রোগ জীবানু।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাজাহান আলী খান বলেন, গাছা খালটির পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ৩ গ্রামের ২ হাজার কৃষক বোরো মৌসুমে পানির অভাবে উচ্চ ফলনশীল বোরোধান চাষ করতে পারছে না। এলাকার কৃষকদের কর্মমুখী রেখে একই জমিতে একাধিক ফসল ফলাতে খালটি পুনঃখনন করা জরুরি।
ভরাট হয়ে যাওয়া এ খাল সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম তারেক সুলতান বলেন, পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়া প্রাচীনতম এ খালটির বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।