সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষপর্যন্ত ১ উইকেটে হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান। ম্যাচের আম্পায়ারিং নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও বিষয়টি খেলার অংশ হিসেবেই নেন অধিনায়ক বাবর আজম। তবে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার হরভজন সিং মনে করেন আম্পায়ারের ভুল ও ডিআরএসের ‘আম্পায়ার্স কল’ আইনের জন্য পাকিস্তান হেরেছে ।
বাবরদের দেয়া ২৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রোটিয়া ইনিংসের ৪৬তম ওভারে হারিস রউফের শেষ বলটি তাবরাইজ শামসির প্যাডে লাগে। পাকিস্তান লেগ বিফোরের আবেদন করলে সাড়া দেননি আম্পায়ার। সাউথ আফ্রিকার শেষ উইকেট জুটি হওয়ায় মরিয়া পাকিস্তান রিভিউ নেয়। তাতে দেখা যায় রউফের করা ইন সুইং লেগ স্টাম্প ছুঁয়ে গিয়েছে। কিন্তু ৫০ শতাংশের বেশি স্পর্শ করেনি ওই বল। আম্পায়ার্স কলে বেঁচে যান শামসি, শেষ পর্যন্ত ম্যাচও জেতে সাউথ আফ্রিকা।
এক্স হ্যান্ডলে ৪৬ বর্ষী বোলার লিখেছেন, ‘আমার মতে ওইটা আউট ছিল না, কিন্তু আম্পায়ের সিদ্ধান্ত পরিক্ষার করার জন্য সেখানে প্রযুক্তি ছিল। যদি বল স্টাম্পে লাগে, তাহলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, (ডিআরএসে তৃতীয় আম্পায়ারের) আউট দেয়া উচিত। তা না হলে প্রযুক্তি ব্যবহারের যৌক্তিকতা কোথায়? এই ম্যাচে পাকিস্তানকে খারাপ আম্পায়ারিং ও জঘন্য নিয়মের মাশুল দিতে হলো। আইসিসির এই নিয়মটা বদলানো দরকার।’
লেগ বিফোরের আবেদনের সময় ডিআরএসের পক্ষ থেকে হক-আই প্রযুক্তির মাধ্যমে বলের গতিবিধি অনুমান করা হয়। তখন বল স্টাম্পের বাইরের অংশে লাগলে তাকে ‘আম্পায়ার্স কল’ দেখানো হয়। অর্থাৎ, মাঠের আম্পায়ার যে রায় দিবেন সেটাই বহাল থাকবে। সেটি হোক আউট বা নট আউট।
ম্যাচের পর পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম বলেছিলেন, ‘ডিআরএস খেলারই অংশ। তবে ওটা যদি আম্পায়ার আউট দিতেন, সেটা আমাদের পক্ষে যেতো। আমার মনে হয় এটি আমাদের সবাইকে হতাশ করেছে। আমাদের এ ম্যাচ জেতার এবং টুর্নামেন্টে টিকে থাকার সুযোগ ছিল। আম্পায়ার্স কল যেটা হয়েছে, সেটাও আসলে খেলারই অংশ। আমাদের পরের তিনটি ম্যাচে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এরপর দেখা যাবে কী দাঁড়ায়।’