দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নয়ন দৃশ্যমান বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ শিরোনামে ইশতেহার ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। দ্রব্যমূল্য সকলের ক্রয়ক্ষমতায় মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখাসহ মোট ১১ বিষয়কে এবারের ইশতেহারে বিশেষ অগ্রাধিকার পেয়েছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারে অগ্রাধিকার পেয়েছে কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। লাভজনক কৃষির লক্ষ্যে সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, যান্ত্রিকীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দৃশ্যমান অবকাঠামোর সুবিধা নিয়ে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে শিল্পের সম্প্রসারণ ঘটানো। ব্যাংকিং খাতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মতো বিষয় গুলো রয়েছে আওয়ামী লীগের এবারের ইশতেহারে।
ইশতেহারে আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের অর্জন এবং আগামী মেয়াদে ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়নে তাদের কর্মপরিকল্পননা তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের শাসনামলকে ‘উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বিশ্বের বিস্ময় বাংলাদেশ’ বলা হয়েছে।
ইশতেহার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুস রাজ্জাক। এরপর ইশতেহার ঘোষণা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
ইতোমধ্যে সারা দেশে নির্বাচনি প্রচার শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরাও মাঠে নির্বাচনি প্রচার ও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
এবার আওয়ামী লীগের ইশতেহারে মূল বিষয় হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই দলটির প্রার্থীরা প্রচার এবং গণসংযোগ করছেন।
এর আগে জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করেছে।