চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত বদলাতে চেয়েছিলেন জিয়া

প্রো-পাকিস্তানি শাসক জিয়াউর রহমান তার দখলদারিত্বের শাসনামলে এক বৈঠকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের কথা বলেছিলেন।ঘটনাটি ১৯৭৮ সালের ১২ ডিসেম্বর; জিয়াউর রহমান ভারী শিল্প জি.এম. প্ল্যান্ট উদ্বোধন করতে চট্টগ্রাম এসেছিলেন। এই প্ল্যান্টটি সোভিয়েত ইউনিয়ন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য হিসেবে নির্মাণ করে দেয়।প্লান্টের উদ্বোধন শেষে জিয়াউর রহমান তার বিশ্রামকেন্দ্র চট্টগ্রাম সার্কিট হাইজে ফিরে আসেন। সেখানে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন…

বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদের স্বরূপ ও সম্ভাব্য করণীয়

২০১৩ সাল থেকে ইসলামী জঙ্গিরা ধারাবাহিকভাবে নাস্তিক-সংখ্যালঘু-প্রগতিশীলদের কুপিয়ে হত্যা করলো, সরকার তখন এসব নৃশংস ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বলে আখ্যায়িত করে; সরকার স্বীকারই করলো না যে, বাংলাদেশে ইসলামী জঙ্গিবাদ ভয়ংকরভাবে বিস্তার করেছে।গুলশানে ইসলামি জঙ্গিদের হামলায় ২০ জন বিদেশী ও ০২ জন পুলিশ নৃশংসভাবে মারা গেছে, আহত হয়েছে অসংখ্য।এই মর্মান্তিক ঘটনাটি হয়তো ঘটতো না, যদি ২০১৩ সাল হতে ইসলামী জঙ্গিদের হাতে ধারাবাহিকভাবে নৃশংসতম উপায়ে বগ্লার লেখক খুনের ঘটনাগুলোকে সরকার বিচ্ছিন্ন ঘটনা আখ্যা না দিয়ে বরং জঙ্গিবাদ দমনে জরুরি ব্যবস্থা নিতো।সে সময়…

জঙ্গিবাদের চিরায়িত ছায়া

বায়াত্তরে দেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু দালালদের যুদ্ধাপরাধের বিচারের বিষয়ে কাজ করা শুরু করেন। দেশে ফেরার দুই সপ্তাহের মাথায় ৭২'র ২৪ জানুয়ারি দালাল আইন পাশ করা তার অন্যতম বড় প্রমাণ।এই সময়টাই জামায়াত, মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলামী পার্টি সহ যুদ্ধাপরাধ ও দালালিতে যুক্ত ছিল এমন সংগঠন ও এদের নেতা-কর্মীরা সমাজে নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হতো; এরা প্রকাশ্যে কিছু করার সাহস পেত না। ফলশ্রুতিতে, তারা তাদের পুরোনো কৌশল ব্যবহার করে; আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যেয়ে ছদ্মনামে কাজ করতে থাকে।'যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের জন্য ও সমাজে নিজেদের পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার…

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের স্মৃতি পাকিস্তানিদের হাতে তুলে দেন জিয়া

নৌ কমান্ডো মুক্তিযোদ্ধারা মংলা নৌ বন্দরে পাঁচটি পাকিস্তানিদের মিত্র বিদেশী জাহাজ ধ্বংস করে; এই জাহাজগুলোতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর জন্য যুদ্ধ পরিচালনার জন্য রসদ ছিল। ধ্বংসকৃত জাহাজগুলোর মাঝে আমেরিকান শিপিং প্রতিষ্ঠান M/S Inco Shipping Corporation-এর মালিকানাধীন S.S.Lightening নামে একটি জাহাজ ছিল। এই জাহাজে পাকিস্তানিদের জন্য অস্ত্র-গোলাবারুদ রাখা ছিল। নৌ-কমান্ড মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমনে বিধ্বস্ত জাহাজ S.S. Lightening১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকার বিধ্বস্ত S.S.Lightening জাহাজটিকে…

জঙ্গিবাদের করাল থাবায় আক্রান্ত বাংলাদেশ

মুক্তচিন্তা, বিজ্ঞানমনস্কতা, ধর্মনিরপেক্ষতার আন্দোলন করার কারণে, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়ার কারণে খুন হবার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িকতার পিশাচের কালো থাবা থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাড়ছে দেশত্যাগকারীর সংখ্যা।কিন্তু এমনটি হবার কথা ছিলো না। মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নবযাত্রার মূল ভিত্তি ছিলো ধর্মনিরপেক্ষতা। প্রত্যাশা, আকাঙ্খা, স্বপ্ন ছিলো উন্নত সমাজ ব্যবস্থা ও রাষ্ট্রকাঠামো সৃষ্টির। কিন্তু প্রগতিশীলতার এক বুক আশা নিয়ে, স্বপ্ন নিয়ে, প্রত্যয় নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এই জনপদ হেঁটেছে উল্টো…

একাত্তরের গণহত্যা অস্বীকার ও বাংলাদেশ

‘গণহত্যা অস্বীকার (Genocide Denial)’ বলতে সংঘটিত কোনো গণহত্যাকে অস্বীকার বা সংঘটিত গণহত্যার নৃশংসতার মাত্রাকে স্বল্প বলে দেখানোর গর্হিত অপচেষ্টাকে বুঝানো হয়। সংঘটিত গণহত্যাকে অস্বীকার করার মত অমানবিক কাজকে ‘ঐতিহাসিক সত্যকে অস্বীকার করা ও ইতিহাস দূষণের অপচেষ্টা’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী এবং তাদের অনুগত বিহারি ও দেশীয় দালালরা কমপক্ষে ত্রিশ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করেছিলো, কমপক্ষে পাঁচ লক্ষ নারীকে ধর্ষণ করেছিলো। বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি এবং তাদের অনুগত বিহারি ও…

আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিব দেখেছি

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর নামের শুরুতে ‘জাতির পিতা’ ও ‘বঙ্গবন্ধু’ -এই দুটো প্রশংসাসূচক সম্বোধন যুক্ত হয়েছে, কারণ তিনি পরাধীনতা, শোষণ, বঞ্চনার হাত থেকে উদ্ধার পেতে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন।১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বৃটিশ অধীনতা হতে মুক্ত হয়েছিল বটে কিন্তু পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পায়নি। দীর্ঘ ২৪ বছর পরাধীনতার শৃঙ্খলে আটকে ছিল বাঙালি, পদে পদে ছিল বঞ্চনা, শোষণ, নির্যাতন। পাকিস্তান আমাদের তাদের অনুগত দাস বানিয়ে রাখতে চেয়েছিল। আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ খরচ করা…

আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু শেখ মুজিব দেখেছি

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর নামের শুরুতে ‘জাতির পিতা’ ও ‘বঙ্গবন্ধু’ -এই দুটো প্রশংসাসূচক সম্বোধন যুক্ত হয়েছে, কারণ তিনি পরাধীনতা, শোষণ, বঞ্চনার হাত থেকে উদ্ধার পেতে আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন।১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বৃটিশ অধীনতা হতে মুক্ত হয়েছিল বটে কিন্তু পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পায়নি। দীর্ঘ ২৪ বছর পরাধীনতার শৃঙ্খলে আটকে ছিল বাঙালি, পদে পদে ছিল বঞ্চনা, শোষণ, নির্যাতন। পাকিস্তান আমাদের তাদের অনুগত দাস বানিয়ে রাখতে চেয়েছিল। আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ খরচ করা…

ইতিহাস বলছে গোলাম আযম ‘ভাষাসৈনিক’ নন

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা স্বাধীন বাংলাদেশে পুর্নবাসিত হয়।সে প্রক্রিয়ায় একাত্তরের বাঙালি নিপীড়নের অন্যতম রূপকার গোলাম আযমকে পুর্নবাসিত করার উদ্দেশ্যে কিছু প্রোপাগান্ডা সৃষ্টি করা হয়; তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো- গোলাম আযম একজন ভাষা সৈনিক। কিন্তু ইতিহাস, তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণ ভিন্ন কথা বলে; সত্য অনুসন্ধানে সেদিকে আলোকপাত করছি-২৭ নভেম্বর, ১৯৪৮: পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমাবেশে ভাষণ দেয়। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা একটি মানপত্র পাঠ করে।…

ইতিহাস বলছে গোলাম আযম ‘ভাষাসৈনিক’ নন

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা স্বাধীন বাংলাদেশে পুর্নবাসিত হয়।সে প্রক্রিয়ায় একাত্তরের বাঙালি নিপীড়নের অন্যতম রূপকার গোলাম আযমকে পুর্নবাসিত করার উদ্দেশ্যে কিছু প্রোপাগান্ডা সৃষ্টি করা হয়; তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো- গোলাম আযম একজন ভাষা সৈনিক। কিন্তু ইতিহাস, তথ্য উপাত্ত ও প্রমাণ ভিন্ন কথা বলে; সত্য অনুসন্ধানে সেদিকে আলোকপাত করছি-২৭ নভেম্বর, ১৯৪৮: পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমাবেশে ভাষণ দেয়। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা একটি মানপত্র পাঠ করে।…