চলতি বছরের জুনে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায়ের কথা জানিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ঠিক করে রেখেছেন দিনক্ষণও। আগামী বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিডনি টেস্টের পর লাল বলের ক্রিকেট থেকে তিনি বিদায় নেবেন।
১৪ ডিসেম্বর থেকে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন টেস্টের সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। সিডনিতে গড়াবে শেষ টেস্ট। ম্যাচটি শেষে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চান ৩৭ বর্ষী ক্রিকেটার।
তবে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার সাইমন ও’ডোনেল ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্টের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তার মতে, কোনো খেলোয়াড়ের অবসরের জন্য পছন্দের ভেন্যু এবং তারিখ বেছে নেয়ার অধিকার নেই।
অজিদের ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ও’ডোনেল ৬ টেস্ট ও ৮৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন। ৮৩টি ফাস্ট ক্লাসের পাশাপাশি সাবেক ডানহাতি পেস অলরাউন্ডার খেলেছেন ১২৬টি লিস্ট এ ম্যাচ।
রেডিও সাক্ষাৎকারে ও’ডোনেল বলেন, ‘আমি বিদায়ী সফর পছন্দ করি না। স্টিভ ওয়াহ কিংবা মার্ক টেলরের সময়েও আমি এটা পছন্দ করিনি। আমি মনে করি, আপনাকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এটা সম্মানের বিষয়। আমি এ বছরের ৩০ জুন শেষ করব এমনটা বলার অধিকার কারোর আছে বলে আমি মনে করি না।’
ওয়ার্নারের অবসরের দিনক্ষণ ঠিক করার বিপক্ষে অবস্থান নিলেও টেস্ট থেকে তার সরে যাওয়ার সময় এসেছে বলে মত দেন ও’ডোনেল। বললেন, ‘সাদা বলের ক্রিকেট চালিয়ে যেতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু লাল বলে তার অবসরের এখনই সময়। আমরা সেই বাঁকে উপস্থিত হয়েছি। কেবল বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে, ফলে সামনে জল ঘোলা হবে। সবাই বলবে, “ও হ্যাঁ, তাহলে বিশ্বকাপের ব্যাপারে কী মত? ফলে এগুলো ভাবার একটু সময় সে পাবে বলে মনে করি।’
ক্যাঙ্গারুদের কিংবদন্তি ওপেনার সাদা পোশাকের ক্রিকেট থেকে বিদায়ের পর তার জায়গায় ক্যামেরন ব্যানক্রফটের আসা উচিৎ বলে জানান ও’ডোনেল। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক রান পেতে থাকাকেই তিনি যুক্তি হিসেবে দাঁড় করান।
‘কাকে নেয়া উচিৎ, এটা নিয়ে বিতর্ক হবে। ক্যামেরন ব্যানক্রফটের আসলে আর কত কিছু করা লাগবে আমি নিশ্চিত নই। সে সেঞ্চুরি করেই যাচ্ছে, সেঞ্চুরি না হলেও ৬০ করছে। একটা খারাপ ইনিংস গেলে আরেকটা ১০০ মারছে, ১৮ মাস ধরেই দুর্দান্ত ফর্মে আছে। আপনি তাকে আরেকটি গ্রীষ্ম অপেক্ষা করাবেন? কারণ এই পরিকল্পনা (ওয়ার্নারকে খেলানোর) বজায় থাকলে তাকে সেটিই করতে হবে।’
‘আমি মনে করি খেলাটি সবসময় ব্যক্তির চেয়ে বড়। এখানে অনেক কিছু বিবেচনায় নেয়ার আছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হল তাদের টেস্ট ম্যাচ জেতা। ডেভিড ওয়ার্নার যদি অর্ডারের শীর্ষে এক নম্বরে সেরা হন, তাহলে সেটাই হোক।’
২০১৮ সালে কেপটাউনে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টেস্টের সময় ‘স্যান্ডপেপার-গেট’ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে তৎকালীন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ এবং ওয়ার্নারের সঙ্গে ব্যানক্রফটকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।