জাসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ শামির আগুন ঝরা বোলিংয়ে শুরুর দিকেই হোঁচট খেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ৪৭ রানে তিন ব্যাটারকে হারানোর পরে মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে চাপ কাটিয়ে তুলেছেন ট্রাভিস হেড। অজি ওপেনারের সেঞ্চুরিতে ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের পথে হাঁটছে প্যাট কামিন্সের দল।
৩৪তম ওভারের পঞ্চম বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ট্রাভিস হেড। ১৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৯৫ বলে সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন অজি ওপেনার।
ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছেন হেড। অজিদের মধ্যে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ফাইনালে এমন কীর্তি গড়েছেন তিনি। এর আগে অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ২০০৭ সালে ও রিকি পন্টিং ২০০৩ সালে ফাইনালে সেঞ্চুরি করেন।
অজিদের জয়ের পথে হেডকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন লাবুশেন। ১৮০ বলে ১৫৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ব্যাট করছেন তারা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২০৪ রান করেছে প্যাট কামিন্সের দল। ট্রাভিস হেড ১০৭ বলে ১১৭ রানে ও মার্নাস লাবুশেন ৮৮ বলে ৪৩ রান করে ক্রিজে আছেন।
আহমেদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রোববার অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে ব্যাটে পাঠায় স্বাগতিক ভারতকে। লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলির ফিফটিতে নির্ধারিত ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিক দল।
শিরোপার মহারণে সংগ্রহটা বড় করতে না পারলেও অস্ট্রেলিয়াকে ২৪১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই দিয়েছে ভারত। রানতাড়া করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে নড়বড়ে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ওভারে উইকেট হারায় তারা। দলীয় ১৬ রানে ভারতকে প্রথম সফলতা এনে দেনে মোহাম্মদ শামি। ৩ বলে ৭ রান করে কোহলির ক্যাচ হয়ে ফিরে যান ডেভিড ওয়ার্নার।
পঞ্চম ওভারে দ্বিতীয় আঘাত হানেন জাসপ্রীত বুমরাহ। ১৫ বলে ১৫ রান করা মিচেল মার্শকে ফেরান রাহুলের ক্যাচ বানিয়ে। সপ্তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৪৭ রানে ফের আঘাত হানেন বুমরাহ। স্টিভেন স্মিথকে ফেরান লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে। ৯ বলে ৪ রান করে যান স্মিথ।
২২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে কুলদীপ যাদবের ডেলিভারি স্কয়ার অঞ্চলে পাঠিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেছেন হেড। ৫৮ বলে ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও একটি ছক্কার মার। এরপর চার-ছক্কার মারে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।