অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টেই সিরিজ নিশ্চিতের সুযোগ ছিল ভারতের। সফরকারীদের জন্য ছিল স্পিন ফাঁদ। সেই ফাঁদে ধরা পড়েছেন রোহিত-কোহলিরাই। তৃতীয়দিনে প্রথম সেশনে তাদের ৯ উইকেটে হারিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্টিভেন স্মিথের দল। যে জয়ে সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার পাশাপাশি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও নিশ্চিত করেছে অজিরা। টেবিলের দুইয়ে থেকেও ফাইনাল এখনও নিশ্চিত নয় ভারতের।
অস্ট্রেলিয়ার লিড নেয়া ৮৮ রান পেরিয়ে নাথান লায়নের গর্জনের মুখে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয়েছিল ১৬৩ রানে। মাত্র ৭৬ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে জয় পেতে অজিদের অপেক্ষা করতে হয়নি খুববেশি। ১৮.৫ ওভার খেলে ১ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেন স্মিথ-লায়নরা।
ভারতকে হারিয়ে ৬৮.৫২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া। এখনও নিশ্চিত হয়নি স্মিথদের প্রতিপক্ষ। ৬০.২৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে থেকে ফাইনালের অন্যতম দাবিদার ভারত। ফাইনাল নিশ্চিতে রোহিতদের অপেক্ষা করতে হবে আহমেদাবাদ টেস্ট পর্যন্ত। সেই ম্যাচে অজিদের হারাতে পারলে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিশ্চিত হবে ফাইনাল।
ভারতের সঙ্গে ফাইনালের দৌড়ে আছে শ্রীলঙ্কা ও সাউথ আফ্রিকা। ৫৩.৩৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে অবস্থান লঙ্কানদের। ৫২.৩৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে সাউথ আফ্রিকা। ৯ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে লঙ্কান দল। ওই দুই ম্যাচেই লঙ্কানরা জয় পেলে শঙ্কা থাকবে ভারতের ফাইনাল নিশ্চিতের পথে। সেক্ষেত্রে আহমেদাবাদ টেস্ট অজিদের কাছে হারলে ভারতের ফাইনাল অনিশ্চিতই বলা চলে।
শুক্রবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১ রানে ওপেনার উসমান খাজাকে হারায় সফরকারীদল। শ্রীকর ভরতকে ক্যাচ দিয়ে রানের খাতা না খুলে খাজা শিকার হন অশ্বিনের। ট্রাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেনের ৭৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৯ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। হেড ৫৩ বলে করেন ৪৯ রান, মার্নাস ৫৮ বলে ২৮।
ইন্দোর টেস্টের প্রথম ইনিংসে অজি স্পিনারদের দাপটে এক সেশনের একটু বেশি খেলে ৩৩.২ ওভারে মাত্র ১০৯ রানে অলআউট হয়েছিল ভারত। জবাবে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিনে ৮৮ রানে এগিয়ে থেকে ১৯৭ রানে প্রথম সেশনেই নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করেছিল সফরকারীদল।
দ্বিতীয় ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়ান স্পিনারদের কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন স্বাগতিক ব্যাটাররা। অফস্পিনার নাথান লায়ন একাই ফিরিয়ে দেন ৮ ব্যাটারকে। মাত্র ৭৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে ১৬৩ রানে ইনিংস শেষ করেন রোহিত-কোহলিরা। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেন চেতেশ্বর পূজারা।
ভারতকে ধরাশায়ী করার ম্যাচে সেরা হয়েছেন নাথান লায়ন। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।