চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

হেড-স্মিথের জুটিতে দাপুটে অস্ট্রেলিয়া

কেনিংটন ওভালের পিচের ছয় মিলিমিটার উচ্চতার সবুজ ঘাস দেখে সহজেই অনুমান করা যায়, পেসাররা দেখাবে দাপট। অস্ট্রেলিয়ার দলীয় দুই রানের মাথায় উসমান খাজার উইকেট তুলে নিয়ে সেই আভাস দিয়েছিলেন মোহাম্মাদ সিরাজ। ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্নাস লাবুশেন সম্ভাবনা জাগিয়ে খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। তবে পেসাররা নয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিলেন ট্রাভিস হেড ও স্টিভেন স্মিথ। দুই ব্যাটারের দাপটে অজিরা দারুণ দিন পার করেছে।

প্রথম দিন শেষে ক্যাঙ্গারুদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩২৭ রান। সেঞ্চুরি পাওয়া হেড ১৬৫ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় ১৪৬ রানে অপরাজিত আছেন। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা স্মিথও অপরাজিত, ২২৭ বলে ১৪ চারে ৯৫ রান করেছেন।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ ওভারেই রানের খাতা না খোলা খাজার উইকেট হারায়। শামির বলে অজি ওপেনার উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।

দ্বিতীয় উইকেটে ওয়ার্নার ও লাবুশেন ৬৯ রানের জুটি গড়ে শুরুর চাপ সামাল দেন। লাঞ্চ বিরতির আগে শানির বলে ৬২ বলে ৩ চারে ২৬ রান করা লাবুশেন বোল্ড হন।

লাঞ্চের খানিক পর শার্দূল ঠাকুরের বলে ভরতের গ্লাভসবন্দি হয়ে ক্রিজ ছাড়েন ৬০ বলে ৮ চারে ৪৩ রান করা ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৭৬ রান।

ভারতীয় পেসারদের দাপট দেখাটাই যখন স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল, তখনই স্মিথ আর হেড পিচে আঠার মতো লেগে থাকা শুরু করেন। প্রতিপক্ষের বোলারদের উপর ছড়ি ঘোরাতে থাকা এ দুই ব্যাটার খেলেছেন দুই ভিন্ন ভঙ্গিতে। স্মিথ খেলেন টেস্ট মেজাজে। তবে হেড ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালিয়ে টিম ইন্ডিয়ার দুশ্চিন্তার কারণ হন। চা পানের বিরতিতে যাওয়ার আগে অজিদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৭০ রান।

দিনের শেষ সেশনে আরও ১৫৭ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া। অবিচ্ছিন্ন থেকে চতুর্থ উইকেটে ২৫১ রানের বড় জুটি গড়েন স্মিথ ও হেড। ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন হেড। একইসঙ্গে গড়েন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানোর নজির। অস্ট্রেলিয়ার বাইরে ও ভারতের বিপক্ষে এটিই তার প্রথম সেঞ্চুরি।

ভারতের পক্ষে সিরাজ, শামি ও শার্দূল একটি করে উইকেট পেয়েছেন।