টপঅর্ডার ব্যাটারদের কল্যাণে বড় স্কোরের দিকে এগোচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। পেসার আমের জামালের বোলিং তোপে মাত্র ১০ রানের মধ্যে শেষ ৫ উইকেট হারায় স্বাগতিক দল। পরে অবশ্য লিড পেয়েও ব্যাটিং বিপর্যয়ে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কায় পড়েছে পাকিস্তান।
সিডনি টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে করা ৩১৩ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া ২৯৯ রানে অলআউট হয়। ১৪ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৮ রান তুলতে ৭ উইকেট খুইয়েছে অতিথি দল। পাকিস্তান ৮২ রানে এগিয়ে থাকলেও হাতে মাত্র ৩ উইকেট, পরাজয়ের প্রহরই গুনছে।
শুক্রবার ২ উইকেটে ১১৬ রানে অজিরা ব্যাটিংয়ে নামে। মার্নাস লাবুশেন ও স্টিভেন স্মিথ গড়েন ৭৯ রানের জুটি। মীর হামজার বলে বাবর আজমের তালুবন্দির আগে ৩৮ রান করেন স্মিথ। খানিকপর আঘা সালমানের বলে বোল্ড হন ১৪৭ বলে ৬ চারে ৬০ রান করা লাবুশেন।
দলীয় দুইশ পেরোনোর পর আমেরের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ট্রাভিস হেড। পরে অ্যালেক্স ক্যারিকে সঙ্গী করে ষষ্ঠ উইকেটে ৮৪ রান যোগ করেন মিচেল মার্শ।
উইকেটরক্ষক ক্যারি ৩৮ রানের ইনিংস খেলে সাজিদ খানের বলে বোল্ড হন। ক্যাঙ্গারুদের ব্যাটিং অর্ডারে নামে ধস। মার্শ ১১৩ বলে ৬ চারে ৫৪ রানে আমেরের বলে শান মাসুদের হাতে ধরা পড়েন। টেল এল্ডার ব্যাটারদের দ্রুত সাজঘরে ফেরান আমের।
তাসের ঘরের মতো অজিদের ইনিংস তিনশর আগে থামানোর নেতৃত্বে থাকা পাকিস্তান পেসার আমের ৬৯ রানে পান ৬ উইকেট। সালমান ২টি ও একটি করে উইকেট পান হামজা ও সাজিদ।
পরে নেমে দলীয় শূন্য রানে প্রথম ও এক রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান। মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে যান রানের খাতা না খোলা আবদুল্লাহ শফিক। অধিনায়ক মাসুদও পাননি রানের দেখা, জশ হ্যাজেলউডের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন।
চাপ সামলে তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটি গড়েন ওপেনার সাইম আইয়ুব ও বাবর আজম। দিনের শেষভাগে অস্ট্রেলিয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে ১০ রান যোগ করে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৩৩ রান করা সাইমকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন নাথান লায়ন। বাবর ২৩ রানে হেডের বলে ক্যারির গ্লাভসবন্দি হন।
হ্যাজেলউড এক ওভারেই তুলে নেন ৩ উইকেট। সৌদ শাকিল, সাজিদ ও সালমানের বিদায়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। তিন ম্যাচের সিরিজে অতিথিদের হোয়াইটওয়াশের পাশাপাশি চতুর্থ দিনেই খেলা শেষ হওয়ার সম্ভাবনায় দাঁড়িয়ে সিডনি টেস্ট।
অজিদের পক্ষে ৫ ওভারে মাত্র ৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন হ্যাজেলউড। একটি করে উইকেট পকেটে পুরেছেন স্টার্ক, লায়ন ও হেড।