সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে বক্সিং ডে টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে বড় হয়নি প্রথম ইনিংস। স্বাগতিকরা ৩১৮ রানে গুটিয়ে যায়। ব্যাটিংয়ে সাবলীল সূচনায় সফরকারীরা প্রত্যাবর্তনের পথে থাকলেও অজিদের বোলিং দাপটে খেই হারায়।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বুধবার দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯৪ রান। স্বাগতিকদের চেয়ে এখনো ১২৪ রানে পিছিয়ে তারা। মোহাম্মদ রিজওয়ান ৩৪ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২৯ ও আমের জামাল ২৬ বলে ২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।
৩ উইকেটে ১৮৭ রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়া দিনের খেলা শুরু করে। দলীয় স্কোর দুইশ ছাড়ানোর পর সাজঘরে ফেরেন ট্রাভিস হেড। ক্যাঙ্গারুদের অলরাউন্ডার ১৭ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে দ্বিতীয় স্লিপে আঘা সালমানের হাতে ধরা পড়েন। হেড বিদায়ের আগে চতুর্থ উইকেটে মার্নাস লাবুশেনের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন।
ফিফটি পাওয়া লাবুশেন দলীয় ২৫০ রানের মাথায় আউট হন। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ১৫৫ বলে ৫ চারে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে জামালের বলে প্রথম স্লিপে আবদুল্লাহ শফিকের তালুবন্দি হন।
পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলতে থাকে পাকিস্তান। মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে ৬০ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় ৪১ রান আসলেও টেল এন্ডার ব্যাটাররা তেমন সুবিধা করতে পারেননি। ৬৮ রান যোগ করতে শেষ ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে অজি দল।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ৫২টি অতিরিক্ত রান দিয়েছে পাকিস্তান। বাই থেকে ২০, ওয়াইড ও লেগ বাইয়ে ১৫ এবং নো বল থেকে ২ রান আসে।
পাকিস্তানের পক্ষে ৬৪ রান খরচায় ৩ উইকেট পান জামাল। ২টি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি, মীর হামজা ও হাসান আলী।
ব্যাটিংয়ে নেমে সফরকারীরা দেখেশুনে টেস্ট মেজাজে খেলতে থাকে। দলীয় ৩৪ রানে থামে উদ্বোধনী জুটি। নাথান লায়নের বলে দ্বিতীয় স্লিপে লাবুশেনের হাতে ক্যাচ দেন ১০ রান করা ইমাম-উল-হক।
অধিনায়ক শান মাসুদকে নিয়ে জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেক্কা মারার পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন আবদুল্লাহ শফিক। সাবলীল ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক হাঁকানো শফিকের বিদায়ে ৯০ রানের জুটি ভাঙে। পাকিস্তানের ওপেনার ১০৯ বলে ৫ চারে ৬২ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে ফিরতি ক্যাচ দেন।
খানিক পর মাত্র এক রান করে কামিন্সের বলে বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন বাবর আজম। সাবেক অধিনায়কের ক্রিজ ছাড়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে। ফিফটি পাওয়া মাসুদ ৭৬ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রানে আউট হন। লায়নের বলে ডাউন দ্য উইকেট খেলতে গিয়ে মিডঅনে মার্শের ক্যাচ হন।
অতিথিদের স্কোর দেড়শ পেরোনোর পর সৌদ শাকিল ৯ রানে জশ হ্যাজেলউডের বলে বোল্ড হন। সালমান ৫ রানে কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে গ্লাভসবন্দি হন। তাতে অস্ট্রেলিয়ার লাগাম টেনেও ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান।
অজি অধিনায়ক কামিন্স ৩৭ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট দখলে নেন। লায়ন ২ উইকেট পকেটে পোরেন।