দুই বছর আগে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি অবস্থায় দিন পার করছেন মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচি। সম্প্রতি তার ছোট ছেলে কিম অ্যারিস মায়ের জেলমুক্তির জন্য দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ ২৩ জুন শুক্রবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থান করছেন অং সান সুচির ছোট ছেলে কিম অ্যারিস, সেখানে বিবিসি বার্মিজকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে মায়ের জেলমুক্তির জন্য জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মিয়ানমারে ২০২১ সালে একটি অভ্যুত্থানে অং সান সুচির সরকার পতনের পর তাকে ধারাবাহিক বিচারে ৩৩ বছরের সাজা প্রদান করে দেশটির বর্তমান জান্তা সরকার। এপ্রসঙ্গে ব্রিটিশ নাগরিক কিম অ্যারিস সুচিকে মুক্ত করতে তাকে সাহায্য করার জন্য বিশ্বের দরবারে আহ্বান জানান৷ তিনি বলেন, আমি আমার মাকে কারাগারে থাকতে দিতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনী তাকে তার মা বা তার স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি। তিনি বার্মিজ দূতাবাস, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র অফিস এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু কেউ তাকে সাহায্য করতে সক্ষম হয়নি। তিনি যোগ করেন, আমি মিডিয়ার সামনে কোনও কথা বলতে চাইনি বা খুব বেশি জড়িত হতে চাইনি।
এর আগে ১৯৮৯ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রায় ১৫ বছর সুচি গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় কোনোও গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেননি কিম অ্যারিস। তিনি বলেন, আমি রাজনীতি থেকে দূরে থাকাই ভালো। আমার মা কখনই চাননি আমি এতে জড়িত থাকি। কিন্তু এখন যেহেতু তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে এবং সেনাবাহিনী স্পষ্টতই যুক্তিযুক্ত নয়। তাই আমি মনে করি আমি যা চাই তা বলতে পারি।
অং সান সুচি মিয়ানমারের ক্ষমতায় থাকাকালীন মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালানোর অভিযোগ রয়েছে। নির্যাতিত এসব রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ মানুষ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছে।