বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যন ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, এক সময় বলা হত ‘যার নাই কোনো গতি, সেই করে ওকালতি।’ কিন্তু বর্তমানে বলতে হয়- ‘যার আছে সব গতি, সেই করে ওকালতি।’
গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আইন বিভাগ থেকে পাশ করে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালে বার কাউন্সিল তালিকাভুক্তি ও হাইকোর্ট পারমিশন পরিক্ষায় কৃতকার্য আইনজীবীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাটর্নি জেনারেল একথা বলেন।
শুক্রবার বিকেলে পূর্বাচলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ৮০ জন আইনজীবীকে দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘অভিজাত পেশাগুলোর একটি হলো আইন পেশা। এটি একদিকে যেমন সম্মানের, তেমনি দায়িত্বের। এক সময় বলা হত ‘যার নাই কোনো গতি সেই করে ওকালতি।’ কিন্তু বর্তমানে বলতে হয় ‘যার আছে সব গতি, সেই করে ওকালতি।’
নবীন আইনজীবীদের উদ্দেশে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আগে ওকালতি, তারপর রাজনীতি। তা না হলে এই পেশায় উন্নতি করা যাবে না। আর আদালতের মর্যাদা আইনজীবীদেরকেই রক্ষা করতে হবে। মক্কেলকে কখনও ভুল পরামর্শ দেয়া যাবে না। সৎভাবে উপার্জন করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, ‘আইন পেশা গোটা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। আগেও এই পেশায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়ত, বর্তমানেও পড়ছে। তাই আইনের শিক্ষার্থী ও আইনজীবীদের গর্বিত হওয়া উচিত।’
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব, গাজীপুর জেলা জজ শামীমা আফরোজ, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোর্শেদ, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. আরিফুজ্জামান এবং নবীন আইনজীবীদের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট এস এম আশিকুজ্জামান ও অ্যাডভোকেট ইউছুফ পাটোয়ারী বক্তব্য রাখেন। একপর্যায়ে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালে বার কাউন্সিল তালিকাভুক্তি ও হাইকোর্ট পারমিশন পরীক্ষায় কৃতকার্য আইনজীবীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ডিনগণ, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।