কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দেয়ায়, রাস্তায় বাসের নিচে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে দুই পরীক্ষার্থী। পরে স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের অভিভাবকদের ডেকে দু’জনকে হস্তান্তর করেন।
রোববার ৩০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভৈরব উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানায়, ওই দুই শিক্ষার্থীর বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা দুপুর অনুষ্ঠিত হবে জানতো। পরে সকাল ১০টার দিকে জানতে পারে পরীক্ষার সঠিক সময় সকাল ১০টা। বেলা পৌনে ১১টার দিকে সরকারি কেবি পাইলট মডেল হাইস্কুল কেন্দ্রে ছুটে গেলে কর্তৃপক্ষ দুজনকে ঢুকতে দেয়নি।
পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের দিকে ছুটে যান। সেখানে ইউএনওকে না পেয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে বাসের নিচে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী আরিফুল ইসলাম মামুন পথচারীদের সহায়তায় দুজনকে রক্ষা করেন।
এক পরীক্ষার্থীর চাচা উজ্জ্বল মিয়া বলেন, ভাতিজা মোবাইলে দেখেছে তার পরীক্ষা নাকি দুপুর ২টায়। পরে সকাল ১০টার দিকে জানতে পারে পরীক্ষা সকাল ১০টায়। তারপর সে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ভৈরব সরকারি কেবি স্কুল কেন্দ্রে প্রবেশ করতে গেলে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ তাকে ঢুকতে দেয়নি। তারা জানান, সময় পার হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ নেই।
ভৈরব সরকারি পাইলট মডেল কেবি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম জানান, নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে দুজন পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে আসে। যার কারণে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিকুর রহমান জানান, বিষয়টি বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেয়ায় অসময়ে তাদের পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। তারা পরীক্ষা দিবে অথচ সময়সূচি জানবে না এ ধরনের ভুল দুঃখজনক।