লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুনের সমর্থকের ওপর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারেফ হোসেনের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখাট খোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্যাহ হিরনসহ ৭ জন আহত ও ৬টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
হামলা নয়, দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে দাবি করেন নৌকা প্রতীকের প্রধান সমন্বয়ক ও রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, ঈগলের সমর্থক সুমন হোসেনকে নৌকার পক্ষে কাজ করতে বলে আসছে নৌকা প্রার্থীর লোকজন। রাতে সাহেবেরহাট এলাকায় চা দোকানে বসে সুমনসহ অন্যরা ঈগল মার্কা নিয়ে আলাপ আলোচনা করছে। হঠাৎ নৌকার পক্ষের সমর্থক জেলা পরিষদের সদস্য গিয়াস উদ্দিন মোল্লাসহ অন্যরা দোকানে গিয়ে সুমনকে মারধর করে। এর জের ধরে ঈগলের সমর্থক উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্যাহ হিরনসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে যায়। পরে সেখান থেকে আসার পর নোয়াহাট খোলা এলাকায় পৌছঁলে নৌকার সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করে।
এর জের ধরে সোমবার ১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া,ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে কমলনগর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চর লরেন্স ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আহসান উল্যাহ হিরন, যুবলীগের কর্মী মাকসুদুর রহমান বাবু, সুমন হোসেন ও মাহফুজুর রহমানসহ ৭ জন আহত হয়েছে। আহতদের কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় ৬টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
ঈগল পাখির প্রার্থী সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নৌকার মিছিলে না যাওয়া তার সমর্থক জেলা পরিষদের সদস্য গিয়াস উদ্দিন মোল্লার নেতৃত্বে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আহত করে। এছাড়া ৭টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।
নৌকার প্রধান সমন্বয়ক ও রামগতি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, সাহেবেরহাট এলাকায় নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢুকে ঈগলের সমর্থকরা এক কর্মীকে মারধর করে। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে নৌকার কয়েকজন সমর্থক আহত হয়। তবে হামলার বিষয়টি সঠিক নয়।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।