পাকিস্তানে ইসলামি দল আয়োজিত এক সমাবেশে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে গিয়ে ঠেকেছে। উত্তর-পশ্চিম বাজাউর জেলায় জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই) এর সমাবেশ চলাকালীন এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় আহত হয়েছেন আরও কয়েক ডজন লোক।
সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে পুলিশ জানিয়েছে, তারা প্রমাণ পেয়েছে যে বিস্ফোরণটি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল। ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কারণ ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হামলার পেছনের উদ্দেশ্য এখনো পরিষ্কার নয়। নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটি ঘিরে রেখেছে এবং বিস্ফোরণের তদন্ত চলছে।
আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বাজাউরের পাকিস্তানের উপজাতীয় জেলা খার শহরে রবিবার শত শত লোক উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল কর্মী সম্মেলনে যোগ দিচ্ছিল। মঞ্চের কাছে যখন বিস্ফোরণ ঘটে তখন একটি ছাউনির নীচে শত শত লোক জড়ো হয়েছিল।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তাঁবুটি ধসে পড়েছে, যারা মরিয়া হয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল তারাই আগে সেখানে আটকা পড়েছে।
স্থানীয় টিভিতে সম্প্রচারিত দৃশ্যে দেখায় গেছে, অ্যাম্বুলেন্সগুলো আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, গুরুতর আহতদের জরুরি চিকিৎসার জন্য সামরিক হেলিকপ্টার দ্বারা নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে জেইউআই-এফ-এর একজন আঞ্চলিক নেতা মাওলানা জিয়াউল্লাহ নিহত হয়েছেন।
জেইউআই-এফ একটি প্রধান ধর্মীয় রাজনৈতিক দল এবং পাকিস্তানের সংসদে সরকারি জোটের অংশ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ দায়ীদেরকে সন্ত্রাসী বলে নিন্দা করেছেন যারা ইসলাম, কুরআন এবং পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলে তাদেরকেই লক্ষ্যবস্তু হিসেবে আক্রমণ করেছজে। জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।