মেক্সিকো-মার্কিন সীমান্তের কাছে একটি অভিবাসী আটক কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে উত্তর মেক্সিকোতে সিউদাদ জুয়ারেজ শহরের একটি সরকার পরিচালিত অভিবাসী আটক কেন্দ্রে আগুন লেগে কমপক্ষে ৪০ জন মারা গেছে। ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সীমান্তবর্তী মেক্সিকান শহরগুলিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছে, রাত ১০টার পর ন্যাশনাল মাইগ্রেশন ইনস্টিটিউট (আইএনএম) ফ্যাসিলিটিতে আবাসন এলাকার ভিতর অগ্নিকাণ্ডের সুচনা হয়। এই ঘটনায় আহত ২৯ জনকে জরুরি ভিত্তিতে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গুয়াতেমালার ইনস্টিটিউট অফ মাইগ্রেশন জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে অন্তত ২৮ জন গুয়াতেমালান নাগরিক রয়েছে।
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডোর বলেছেন, “ঘটনার আগে কেন্দ্রে আটক ব্যক্তিরা কর্মকর্তাদের উপর ক্ষুব্ধ ছিল, তারা তাদের নির্বাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছিল। আমরা এখন পর্যন্ত যা জানি তা হল মধ্য আমেরিকা এবং ভেনিজুয়েলার কিছু অভিবাসী সেই আশ্রয় কেন্দ্রে ছিল। যারা দুর্ভাগ্যবশত প্রাণ হারিয়েছেন তাদের নাম ও জাতীয়তা আমরা এখনও সঠিকভাবে জানি না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ধারণা করছি, তারা জানতে পেরেছিল তাদের নির্বাসিত করা হবে, এবং প্রতিবাদ হিসাবে তারা আশ্রয়ের দরজায় গদি জমা করে রেখেছিল একপর্যায়ে তারা এতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা কল্পনাও করেনি এটি এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।”
মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমিগ্রেশন গতকাল জানিয়েছে, আক্রান্ত অভিবাসীদের প্রত্যেককে একটি করে ভিজিটর কার্ড দেওয়া হবে, এতে এক বছরের জন্য বৈধ অভিবাসন এর অনুমতি থাকবে।
মেক্সিকোতে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং উত্তর সীমান্তে তা রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। কারণ এই স্থান থেকেই লোকেরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে।
ভেনিজুয়েলা, কিউবা, নিকারাগুয়া এবং কলম্বিয়া থেকে আসা ক্রমবর্ধমান সংখ্যক লোকের সাথে সাথে গত বছর থেকে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকেই এইসব দেশের দমনমূলক সরকার এবং কঠোর অর্থনৈতিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে অন্য দেশে পালিয়ে যাচ্ছে।