পাকিস্তানি পেসারদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশের টপঅর্ডার। খাদের কিনারা থেকে টিম টাইগার্সকে টেনে তুলেছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। শতরানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন সাকিব।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান। ৫৮ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিক। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন শামীম পাটোয়ারী (৬)।
২৮তম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৪তম ফিফটির দেখা পান সাকিব। ২৯তম ওভারের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে মুশফিকের সঙ্গে শতরানের জুটি পূর্ণ করেন। একদিনের ক্রিকেটে সাকিব-মুশফিকের সপ্তমবারের মতো শতরানের জুটি এটি।
পরের ওভারে বলে আসেন ফাহিম আশরাফ। শর্ট লেন্থের বলে ডিপ স্কয়ার লেগের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন ফখর জামানের হাতে। ভেঙে যায় ১২০ বলে ১০০ রানে সাকিব-মুশির জুটি। ৫৭ বলে সাত চারের মারে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন সাকিব।
সাকিব ফেরার দুই বল পর ক্যারিয়ারের ৪৬তম ফিফটির দেখা পান মুশফিক। ৭১ বলে চারটি চারের মারে ফিফটি পূর্ণ করেন টাইগার উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর ১০ ওভারের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। একে একে সাজঘরে ফিরে যান মেহেদী হাসান মিরাজ (০), লিটন দাস (১৬), নাঈম শেখ (২০), তাওহিদ হৃদয় (২)।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা মিরাজ মুখোমুখি প্রথম বলে আউট হন। শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার ইঙ্গিত ছিল লিটন দাসের ব্যাটে। নাসিম শাহকে তিন বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশের দর্শকের উচ্ছ্বাসে ভাসান এশিয়া কাপে নিজের প্রথম ম্যাচে।
শুরুতে মিরাজের উইকেট হারানোর ক্ষতিও পোষাতে থাকেন। বাড়তে থাকে রানরেট। শাহীন শাহ আফ্রিদির করা অফস্টাম্পের বাইরের একটি বল সুইং করে আরও বেরিয়ে যাওয়ার মুখে খোঁচা মেরে লিটন আউট হন কিপারের হাতে ক্যাচে।
ইনিংসের অষ্টম ওভার ও নিজের প্রথম ওভারে সফলতা পান হারিস রউফ। তুলে নেন নাঈমের উইকেট। বাঁহাতি ওপেনার ২৫ বলে চারটি চারে করেন ২০ রান। পরের ওভারের প্রথম বলে পান আরেকটি সফলতা। বোল্ড করেন তাওহিদ হৃদয়কে। ৪৭ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নাসিম শাহর বলে স্কয়ার লেগে ফখর জামানের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন মিরাজ। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে কোনো রান ওঠার আগেই বিচ্ছিন্ন হয় ওপেনিং জুটি।