বাংলাদেশের ব্যাটারদের ছক্কা মারার সমস্যা কিছুটা দূর হয়েছে বটে তবে দলীয় সংগ্রহ বড় করার কৌশল এখনও রপ্ত করা বাকি। বড় শটে জড়তা কাটলেও দলীয় সংগ্রহে তার প্রভাব পড়ল সামান্যই। ছয়ের আকর্ষণে চার মারতে ভুলে গেলে যা হয়!
এশিয়া কাপে টি-টুয়েন্টির মানানসই ব্যাটিং করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ দল। পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করার পর ম্যাচের পরীক্ষায় শুধু ছক্কাতেই মনোযোগ ছিল ব্যাটারদের। ইনিংসে দশ ছয়ের পাশে চার মাত্র আটটি।
মিরপুরে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি লাল দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দুইবার ব্যাটিংয়ে নেমে সর্বোচ্চ চারটি ছক্কা মেরেছেন। দ্বিতীয়বার নেমে এনামুল হক বিজয় মেরেছেন দুটি ছয়। সবচেয়ে বড় ছক্কাটি মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মিড উইকেট দিয়ে স্লগ সুইপ মেরে বল পাঠিয়েছেন গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড পেরিয়ে বিসিবির মিডিয়া অফিসের কাছে। মুশফিকুর রহিমও মেরেছেন একটি।
ছক্কার সংখ্যা জেনে অনেকেরই বিশাল সংগ্রহের অঙ্ক চোখে ভাসতে পারে। কিন্তু আসলে তা নয়। লাল দলের ওপেনার এনামুল ও চার নম্বরে নামা সাকিব নিজেদের পজিশনে আউট হয়ে পরে আবার নামার পরও স্কোর মোটে ১৬৫ রানের।
জাতীয় দলের বোলাররা দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ায় এমনিতেই ধার কমে গিয়েছিল। তারপর আবার সুযোগ দেয়া হয় বিসিবির হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) স্কোয়াডের তরুণ কয়েকজনকে। এমন বোলিং আক্রমণের সামনে মাঝারিমানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে অভিজ্ঞ ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে সাজানো লাল দল।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৭ বল খেলা সাকিব ৫৩ রান করেছেন চারটি ছয়ের সাহায্যে। ছিল না কোনো চারের মার। এক্ষেত্রে অবশ্য মন্থর আউটফিল্ডও কিছুটা দায়ী। আফিফ হোসেনের নেতৃত্বে খেলা বিসিবি সবুজ দলে ছিল তরুণদের ছড়াছড়ি। অনভিজ্ঞ দলটিকে দেওয়া হয় ১৫০ রানের লক্ষ্য। ১ বল আগেই তা টপকে যায় সবুজ দল। পায় ৪ উইকেটের জয়।
লাল দলের সফল ব্যাটার মোসাদ্দেক ম্যাচ শেষে স্বীকার করেছেন উইকেট অনুপাতে অন্তত ২০ রান কম করেছে তার দল। কথা বলেন পাওয়ার হিটিংয়ের প্রয়োগ নিয়ে।
‘পাওয়ার হিটিং বলতে আমরা সবাই যেটা বুঝতে পারি সেটা ছয় মারার সক্ষমতা। সেটাই হয়তো সবাই করার চেষ্টা করছে। আজকের ম্যাচে সেই আবহটা ছিল। সবাই মারতে চায়, এমন মনোভাবই ছিল। সেটার প্র্যাকটিসটাই আজকে করার চেষ্টা করেছি। একদিনে হয়তো আপনি খুব বেশি উন্নতি পাবেন না। এটা একটা লম্বা প্রক্রিয়া। সময় দিলে এখান থেকে আমরা ভালো ফলাফল পাবো। এটার জন্য আমাদের সবাইকেই সময় দিতে হবে।’
ওপেনিংয়ে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ ২১ বলে তিন চার ও এক ছয়ে করেন ২৯ রান। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১৭ বলে ২৬ রান করেন তিন চার এক ছয়ে। ১৬ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন শেখ মেহেদী। ফিনিশারের দায়িত্ব পালন করা এ ব্যাটার মারেন সাতটি চার। তার ব্যাটে আসেনি কোনো ছক্কা। সবুজ দলের ইনিংসে ১৮টি চার ও চারটি ছক্কা আসে। বাউন্ডারি থেকে ৯৬ রান আসে দলটির। আর প্রথম ব্যাট করা লাল দলের আসে ৯২ রান।