চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ভারতে বিবিসি কার্যালয়ে তল্লাশির নিন্দা আর্টিকেল নাইনটিনের

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি সমালোচনামূলক তথ্যচিত্র প্রচারের কয়েক সপ্তাহ পর গত মঙ্গলবার থেকে দিল্লি ও মুম্বাইয়ে বিবিসির কার্যালয়ে ভারতের আয়কর বিভাগের চলমান তল্লাশিতে নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘আর্টিকেল নাইনটিন’। 

এক বিবৃতিতে ‘আর্টিকেল নাইনটিন’ এর পক্ষ থেকে আজ একথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, সংবাদমাধ্যম যখন জনস্বার্থে সত্য প্রকাশ করে তখন যে কোনো মৌলবাদী বা কর্তৃত্ববাদী সরকারের জন্য সে সত্য মেনে নেয়া কঠিন। তারা চেষ্টা করেও যখন সে সত্যকে ঢাকতে পারে না তখন তারা সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর  হয়রানি শুরু করে দেয়। আমরা মনে করি, ভারত সরকার কর্তৃক বিবিসি কার্যালয়ে এরকম হয়রানিমূলক তল্লাশির কারণে ভারতের ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের প্রতিবেশি একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর এই ঘটনা থেকে এই শিক্ষা নেওয়া উচিত যে দমন-পীড়ন করে সত্যকে ঢাকা দেওয়া যাবে না। এই শিক্ষা যদি তারা নেয় তবে তা দেশ, সরকার, গণতন্ত্র, জনগণ এবং সকলের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

এর আগে গত জানুয়ারিতে গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে দুই পর্বের একটি তথ্যচিত্র প্রচার করে বিবিসি। ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামের এই তথ্যচিত্রটি নিয়ে শুরু হয় নানান বিতর্ক। এই তথ্যচিত্রের মূল বক্তব্য হল গুজরাট দাঙ্গার সঙ্গে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্পৃক্ততা এবং কিভাবে ওই দাঙ্গা তাকে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করেছে তার ব্যাখ্যা।

‘আর্টিকেল নাইনটিন’ ভারত সরকারকে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযানের নামে হয়রানি ও হামলা বন্ধের আহ্বান জানায়।

উল্লেখ্য, আর্টিকেল নাইনটিন একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, যেটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। এটি ১৯৮৭ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সংস্থাটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্যের অধিকার নিশ্চিত করণের ক্ষেত্রে কাজ করে। সংস্থাটি ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করে আসছে।