ইংল্যান্ড জাতীয় দল ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের একজন তারকা ফুটবলার ২০ বর্ষী এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেই খবরের রেশ কাটতে না কাটতেই ওই ফুটবলারের বিরুদ্ধে আরও দুটি ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
আইনি কারণে গ্রেপ্তার খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ। কোন ক্লাবের হয়ে তিনি খেলেন, সেটিও গোপন রাখা হয়েছে।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বিবৃতিতে বলেছে, পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় খেলোয়াড়টির বিরুদ্ধে আরও দুটি ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে। ২০২১ সালের এপ্রিল ও জুন মাসে ২০ বর্ষী দুই তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ এসেছে। আগস্টে তার জামিনের উপর শুনানি হবে।
গত সোমবার ইংল্যান্ড সময় দিবাগত রাত ৩টার দিকে ২৯ বর্ষী অভিযুক্ত ফুটবলারকে নর্থ লন্ডনের বার্নেট এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানের সময় তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন।
ছয়টি গাড়িতে করে পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত ফুটবলারের বাড়িতে অভিযান চালায়। আইনগত কারণেই তার নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। ব্রিটিশ গণমাধ্যমের দাবি, তিনি বেশ সুপরিচিত খেলোয়াড়। কাতার বিশ্বকাপের ইংল্যান্ড দলেও তার থাকা নিশ্চিত ছিল। গ্রীষ্ম মৌসুম শুরুর আগে ক্লাবের হয়ে অনুশীলনও শুরু করেছিলেন।
গতমাসে যুক্তরাজ্যের বাইরে অবকাশ কাটানোর সময় তারকা ফুটবলারটির দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন অভিযোগকারী প্রথম নারী, পুলিশের কাছে বলেছেন এ কথা। ঘটনার পর ভিকটিম একটি পাঁচ তারকা রিসোর্ট থেকে পালিয়ে পরিবারের কাছে চলে যান। যুক্তরাজ্যে ফিরে গত রোববার সন্ধ্যায় থানায় উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই নারী গোয়েন্দাদের কয়েকটি ছবি দেখান। সেগুলো দেখিয়ে দাবি করেন, তার শরীরে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। তার অভিযোগের কয়েকঘণ্টা পরই তারকা ফুটবলারের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।
ফুটবলারের নামের পাশাপাশি কোন ক্লাবের হয়ে তিনি খেলেন সেটিও গোপন রাখা হয়েছে। তবে সেই ক্লাবের কর্তারা ঘটনার কথা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বলে খবর এসেছে। খেলোয়াড়টির সতীর্থরাও বিষয়টি জেনে হতবাক। এটা ক্লাবের জন্য হাতুড়ি পেটা খাওয়ার সমান আঘাত বলা হয়েছে।