ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত আটজন চিকিৎসক বিচারের মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। আর্জেন্টিনার একটি আপিল আদালত মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এখনো বিচারের দিন ধার্য করা হয়নি।
অভিযোগ ওঠা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ম্যারাডোনার নিউরোসার্জন এবং ব্যক্তিগত ডাক্তার লিওপোল্ডো লুক, একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, একজন মনোবিজ্ঞানী, দুজন ডাক্তার, দুজন নার্স। ২০২২ সালে তাদের বিচারের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। আর্জেন্টিনার পেনাল কোড অনুযায়ী এই অপরাধে ৮ থেকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড হয়ে থাকে।
২৫ নভেম্বর ২০২০, গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর খবর। মারা যাওয়ার মাসের শুরুর দিকে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার ভালো চিকিৎসা হয়েছিল ম্যারাডোনার। সফল অস্ত্রোপচার শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। স্বস্তি ফিরেছিল। তারপর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ মৃত্যু। আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়কের এমন প্রস্থানের পর প্রশ্নের ডালপালা মেলতে থাকে।
অস্ত্রোপচারের দুই সপ্তাহ পর ম্যারাডোনাকে বুয়েন্স আয়ার্সের একটি ভাড়া বাড়িতে তার বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। কয়েক দশক ধরে কোকেন এবং অ্যালকোহল আসক্তির সাথে লড়াই করছিলেন ৮৬’র বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
মৃত্যুর কারণ উদঘাটনে ২০ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। পরে আর্জেন্টিনার প্রসিকিউটররা ম্যারাডোনার যত্নে নিয়োজিত ডাক্তার ও নার্সদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। যেখানে উঠে আসে চিকিৎসায় ‘ঘাটতি ও অনিয়ম’র কথা। প্রসিকিউটররা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন যে, ম্যারাডোনা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা পেলে বেঁচে থাকার আরও ভালো সুযোগ পেতেন।