জয়পুরহাট জেলা কারাগার বসেই এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে পাঁচবিবি উপজেলার মহীপুর হাজী মহসিন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন (২০)।
প্রশাসনের এই মহতি উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ।
জেলা কারাগার সূত্র জানিয়েছ, পাঁচবিবি উপজেলার আরজি অনন্তপুর গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে ও মহীপুর হাজী মহসিন সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন নারী ও শিশু নির্যাতনে আইনের দুটি মামলায় চলতি বছরের ২৭ জুলাই থেকে জয়পুরহাট জেলা কারাগারে রয়েছেন।
ওই শিক্ষার্থীর জামিন না হওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর একটি চিঠি লিখেন জেল সুপার। চিঠি পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক কন্ট্রোলার বরাবর চিঠি পাঠালে বোর্ড কন্ট্রোলার থেকে পরীক্ষার অনুমতি আসে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুল ইসলামের অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে কারাগারে পরীক্ষা দেয়ার অনুমতিসহ তার পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। আরাফাত জয়পুরহাট সরকারি কলেজ কেন্দ্রের আওতায় পরীক্ষা দিচ্ছে। সেখান থেকে তাকে প্রশ্নপত্রও সরবরাহ করা হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিউল বারী রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন, একজন শিক্ষার্থীর জীবন গঠনে পরীক্ষা কতটা জরুরি তা সহজেই অনুমেয়। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় কারাবন্দী শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাওয়ায়-একদিকে শিক্ষার্থীর সুগম ভবিষ্যৎ নির্মিত হয়েছে , অন্যদিকে প্রশাসনের বিচক্ষণতার পরিচয় পাওয়া গেছে। আমরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
জেল সুপার রীতেশ চাকমা বলেন, দুই মামলায় গত ২৭ জুলাই থেকে আরাফাত কারাগারে। পরীক্ষার দিন তাকে সময়মত প্রশ্ন দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, এক শিক্ষার্থী জেলা কারাগার থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। জেলায় এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ৮ হাজার ৫৯৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।