ফেনীতে রেলপথে সবধরনের নাশকতা ঠেকাতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। রেল ও যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণ এবং সরকারি সম্পত্তির রক্ষায় এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
রেলপথে নাশকতা বন্ধ করা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ও টহল জোরদার করে নিরাপদ রেল ভ্রমণ নিশ্চিত করার দাবি রেলযাত্রীদের।
ফেনীতে রেলপথে সবধরনের নাশকতা ঠেকাতে ২৮ কিলোমিটার এলাকায় ১৫টি পয়েন্ট ও ৫টি ব্রিজে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ১১০ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়। রেলপথ নিরাপদ রাখতেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের পাশাপাশি ফেনীর রেলপথ সংলগ্ন এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া রেল পুলিশের কয়েকটি টিম ফেনীর ২৮ কিলোমিটার রেলপথ ও রেল স্টেশনে সর্তক পাহারায় রয়েছে। এর মধ্যে ফেনী স্টেশন, শর্শদী, ধুমঘাট, ফাজিলপুর, কালিদহসহ রেললাইনের চারটি, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ১১টি, ফেনীর অংশে স্থানে স্থানে ব্যাটেলিয়ান ও আনসার ভিডিপির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
রেল যাত্রীগণ বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কয়েকটি রেল দুর্ঘটনায় আমরা রেলপথে ভ্রমণে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। রেলপথে নাশকতা ঠেকাতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এ কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রেলপথে আরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য বাড়িয়ে ও টহল জোরদার করে রেল যাত্রীদের নিরাপদে ভ্রমণ ও রেলপথ নিরাপদ রাখতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই।
আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা বলেন, দেশে চলমান হরতাল এবং অবরোধে রেল, রেলপথ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষা করতে আমরা গত ২৯ অক্টোবর থেকে দিনে এবং রাতে দুই শিফটে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা টহলের মাধ্যমে রেলপথ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কোন ক্ষতি হয়েছে কিনা তা চেক করছি। দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে আমাদেরকে লাল পতাকা, বাঁশি, টর্চ লাইট ও শীতবস্ত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছে।
ফেনী জেলা আনসার ও ভিডিপি পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. জানে আলম সুফিয়ান বলেন, বিএনপির লাগাতার চলমান আন্দোলনের শুরু থেকে ফেনীর রেলপথের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একাধিক গ্রুপে বিভক্ত করে ব্যাটেলিয়ন ও সাধারণ আনসার ভিডিপির সদস্যদের পাহারার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরা বিভিন্ন শিফটের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রতিদিন রেলপথে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের মনিটরিং করা হচ্ছে। ২৮ কিলোমিটার পথে কয়েকটি ব্রিজ আছে,
সেগুলোকেও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এভাবে সর্তক পাহারা চলবে।
রেলপথে সবধরনের নাশকতা ঠেকাতে ও যাত্রীদের নিরাপদে ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমনটি আশা সকলের।