
ভারত ও কানাডার অমীমাংসিত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মাঝে আবার এক খালিস্তানপন্থী নেতার মৃত্যু হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, দুই গোষ্ঠীর লড়াইয়ের মারা গিয়েছেন সুখদুল সিংহ ওরফে সুখা ডুনেকা নামের এক খালিস্তানপন্থী নেতা।
কানাডার উইনিপেগ শহরে মারা গিয়েছেন সুখদুল। ২০১৭ সালে ভুয়া নথি দেখিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে দেশ ছেড়েছিলেন পঞ্জাবের বাসিন্দা সুখদুল। তখনই তার বিরুদ্ধে সাতটি অপরাধের মামলা করা হয়।
সুখদুল-হত্যার দায় স্বীকার করেছে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। বিষ্ণোই গ্যাংয়ের তরফে প্রকাশিত একটি ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘পাপের শাস্তি’ পেয়েছেন সুখদুল।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো খলিস্তানি নেতা হরদীপ সিংহকে খুনের ঘটনায় ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-এর ভূমিকা আছে বলে অভিযোগ করেছেন। এই মন্তব্যের পরপরই কানাডার এক ভারতীয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনার প্রতিবাদে কানাডার এক শীর্ষ কূটনীতিককে পাঁচ দিনের মধ্যে দিল্লি ছাড়ার নির্দেশ দেয় ভারত সরকার।
বুধবার এই টানাপড়েনের জন্য কানা়ডার উপর চাপ বাড়ায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
এনআইএ টুইটারে এক টুইটে নয়াদিল্লির ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা লরেন্স বিষ্ণোই, জসদীপ সিংহ, কালা জাথেরি ওরফে সন্দীপ, বীরেন্দ্র প্রতাপ ওরফে কালা রানা এবং জোগিন্দর সিংহের ছবি প্রকাশ করে জানায় ওই পলাতকদের মধ্যে অনেকেরই ঠিকানা এখন কানাডা।
বিজ্ঞাপন