ভারতীয় বৈদেশিক মুদ্রা আইন ফরেক্স লঙ্ঘনের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে আবারও ভারতের বিবিসি কার্যালয়কে আর্থিক বিবরণ দিতে বলা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে ট্যাক্স তদন্তের মুখোমুখি হয়েছিল ভারতের বিবিসি কার্যালয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বৃহস্পতিবার ১৩ এপ্রিল এক সূত্রে জানা গেছে, বিবিসির বিদেশী রেমিটেন্স এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দ্বারা যাচাই করা হচ্ছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বিবিসি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা) এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, বিবিসিকে তার হিসাব ও আর্থিক বিবরণী জমা দিতে বলেছে।
আয়কর বিভাগ বিবিসির জরিপ করার কয়েক মাস পর করের অনিয়ম, মুনাফা অপসারণ এবং নিয়ম না মেনে চলার অভিযোগে তার দলগুলিকে দিল্লি ও মুম্বাইয়ের সম্প্রচারক অফিসে পাঠানোর পর এই তদন্ত শুরু হয়।
এর আগে জরিপ চলাকালীন সময়, বিবিসির সিনিয়র কর্মীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে রাতভর অফিসে থাকতে হয়েছিল।
আয়কর বিভাগের প্রশাসনিক সংস্থা সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (সিবিডিটি) বলেছিল, বিবিসি ভারত গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থার দেখানো আয় এবং মুনাফা তাদের কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। তার বিদেশী সত্তা দ্বারা নির্দিষ্ট রেমিটেন্সের উপর ট্যাক্সও দেয়া হয়নি।
২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় গুজরাটের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের সমালোচনাকারী একটি তথ্যচিত্র প্রচার করার কয়েক সপ্তাহ পর এই কর অনুসন্ধান শুরু হয়।
“বিবিসির ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন” শিরোনামের দুই পর্বের সিরিজে সরকারের ওপর অভিযোগগুলো পরীক্ষা করা হয়েছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদি দাঙ্গা থামাতে যথেষ্ট কাজ করেননি, এই অভিযোগগুলো সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডকুমেন্টারি ভাগ করে নেয়া পোস্টগুলি সরিয়ে নেয়ার জন্য জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করেছিল সরকার।