চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যাপকের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনের সপ্তম দিনেও তদন্ত রিপোর্ট পেশ না করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মূল ফটকে তালা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার ১১ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত অবস্থায় এই ঘোষণা দেন।
রসায়ন বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম সিতু চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা ছিলো বৃহস্পতিবার। সরকারি ছুটির কারণে আজ রোববার রিপোর্ট পেশ করা হবে বললেও তা করা হয়নি। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। আমরা সোমবার সময় দিয়ে মঙ্গলবার থেকে কঠোর আন্দোলনে নামবো।
একই বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী জুবায়ের ফারদিন বলেন, আজকে আন্দোলনের ৭ম দিন। এতদিনেও কেন তারা রিপোর্ট পেশ করতে পারছেনা আমরা বুঝতে পারছিনা। আমরা সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করব। এর মধ্যে তদন্ত শেষ না হলে এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে। আমাদের প্রতি সেশনে দেড়শো শিক্ষার্থী আছে৷ আমরা সবাই মাঠে নামলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা সুবিচারের জন্য তা করতে রাজি আছি।
এ বিষয়ে চবি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার একটি জরুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তদন্তে যেন কোনো ফাঁকফোকর না থাকে, অপরাধী যেন আমাদের ত্রুটির কারণে আইনকে ফাঁকি না দিতে পারে সেজন্য পরিপূর্ণ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এ কারনণই সময় লাগছে। যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলের সদস্যরা এখনও কাজ করে যাচ্ছেন। কেও বসে নেই। দু একদিনের ভেতরেই রিপোর্ট পেশ করবেন তাঁরা।
গত ৩১ জানুয়ারি উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারের কার্যালয়ে রসায়ন বিভাগের এক শিক্ষার্থী একই বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবুল মতিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও ধর্ষণচেষ্টার লিখিত অভিযোগ দেন।
পর দিন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এখনও প্রশাসনের তদন্ত শেষ না হওয়ায় সেই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে পড়েছে।
অভিযুক্ত অধ্যাপক চ্যানেল আই অনলাইনকে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অভিযোগকারী শিক্ষার্থী মানসিক রোগাক্রান্ত, হতাশায় ভুগছে। মিথ্যা অভিযোগে তাকে কেন ফাঁসানো হচ্ছে তা তিনি জানেন না।