বেলা বোস, রঞ্জনা, মালা, ম্যারি এ্যান কিংবা বৃষ্টি- অঞ্জন দত্তের গাওয়া এরকম অসংখ্য গান টানা কয়েক দশক ধরে বাঙালির ঠোঁটে কণ্ঠে। শুধু ভারতীয় বাঙালি নয়, বাংলাদেশের শ্রোতাদের হৃদয়ের খুব কাছে অঞ্জনের বাস!
বাংলাদেশের শত সহস্র শ্রোতাদের নিয়ে এবার মুখ খুললেন এই শিল্পী। জানালেন নিজের মুগ্ধতার কথা। সেই সঙ্গে বিগত ৩৫ বছর আগে ঢাকায় প্রথমবার কনসার্টে হাজারও দর্শকের সামনে গাওয়ার অনুভূতিও জানালেন এই শিল্পী।
ক’দিন আগেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ৩১তম ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে গানে সুরে মাতিয়ে গেছেন অঞ্জন দত্ত। মূলত এই কনসার্ট নিয়েই হয়েছে বেশ মাতামাতি। বিষয়টি চোখ এড়ায়নি এই শিল্পীর।
মুগ্ধ অঞ্জন এ বিষয়ে বলেন,‘২৫ বছর আগে ঢাকা আর্মি স্টেডিয়ামে প্রায় ৩০ হাজার শ্রোতার সামনে প্রথমবার। তখন বয়স ৪৪। আজ ৬৯। তিন দিন আগে ঢাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় ১০ হাজার শ্রোতা। সেই একই গান। দু চারটে নতুন। সেই একই উন্মাদনা।’
বাংলাদেশি দর্শকদের নিয়ে অঞ্জন দত্ত বলেন,‘আমি অনেক দিন ধরে জানি যে আমার শ্রোতাদের এবং দর্শকদের ৫০ শতাংশ বাংলাদেশি। সে ঢাকার হোক বা ইস্ট লন্ডনের। অর্থাৎ যে কারণে হিন্দু বাঙালিরা আমাকে বেচে নেয় বেলা বোসকে কলকাতায় বা ওসলোতে। সেই একই কারণে মুসলমান বাঙালি বেছে নেয় মালা।
জাবির কনসার্টটিতে পারফর্ম করে নিজের যৌবন ফিরে পাওয়ার অনুভূতির কথা বললেন অঞ্জন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন,‘ইউনিভার্সিটির ৩১ তম ব্যাচকে আমার অন্তরের ভালোবাসা। শাহরিয়ার মোস্তফা তন্ময় উদ্যোগ নিয়ে আমার যৌবনকে আবার ফিরিয়ে দিলো। যেহেতু বিদ্যালয়ের নিজস্ব রি-ইউনিয়ন তাই প্রচার করা হয়নি। কিন্তু বিদ্যালয়ের ১০ থেকে ১৫ হাজার ছাত্র ছাত্রীদের তো বাদ দেওয়া যায় না। তাই মুক্তমঞ্চ উপচে পড়ে। আমাদের দেবার ইচ্ছেটাও। কিন্তু সময়ের এবং ভিড়ের চাপে সেই মালা গানটা গাওয়া হয়না। রাত দশটা বেজে যায় অনুষ্ঠান শেষ করতে হয়। প্রায় দু ঘণ্টার ওপর অনুষ্ঠান।’