‘নেত্রী দ্য লিডার’ সিনেমায় নেত্রীর দেহরক্ষীর চরিত্র করছেন অনন্ত জলিল। চরিত্রটিকে তিনি ভীষণ চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছেন। ঘুমানোর আগে চরিত্রটি নিয়ে ভাবছেন। কতটা সুনিপুণভাবে পর্দায় চরিত্রটির রূপদান করা যায় ভেতরে ভেতরে সেই তাগিদ অনুভব করছেন অনন্ত জলিল। এও মাথায় রাখছেন, তার এই চরিত্রটি যেন সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রল না হয়!
মানিকগঞ্জে শুটিং সেটে বসে অনন্ত জলিল তার ‘নেত্রী: দ্য লিডার’ সিনেমা নিয়ে কথা বলেন চ্যানেল আই অনলাইনের সাথে। যেহেতু সিনেমাটি রাজনৈতিক অ্যাকশন ঘরানার সেজন্য শুটিং সেটে নতুনত্ব রাখার চেষ্টা করছেন এ নায়ক।
সিনেমাটিতে অভিনয় ও প্রযোজনার পাশাপাশি এর কনসেপ্ট ও কস্টিউমের কাজও তিনি অনন্ত জলিল নিজে। সেজন্য তার অনেক রাতের ঘুম হারাম হয়েছে বলে জানান।
অনন্ত জলিল বলেন, নেত্রীর অফিস, কনফারেন্স রুম ডিজাইন দেখে মনে হবে এটা কোন দেশের নেত্রীর অফিস ডিজাইন! অন্যান্য শিল্পীদের ড্রেস, লুক সবকিছু নিয়ে আমি কাজ করেছি। তুর্কিতে শুটিং এবং সেখানকার সবার সঙ্গে যোগাযোগ আমি নিজে করছি। আমাদের গল্পে তাদের কাজে আগ্রহী করা। এমন কোনো কাজ নাই যে আমি এই সিনেমার জন্য করছি না।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র এই সিনেমার জন্য গত একমাসে ধরে আমি সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশী ঘুমাতে পারি নাই। এতে আমি নেত্রীর দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করছি। আফসোস হচ্ছিল, এই চরিত্রে আমার তেমন নতুন কস্টিউম নাই। দেখছি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দেহরক্ষী হিসেবে যারা কাজ করেন তাদের আচরণ পোশাক কেমন। এসব কিছুর মধ্যে মানুষ যেন ট্রল না করে সেদিকে খেয়াল রাখছি।
অনন্ত জলিল বলেন, মানুষের বোঝা উচিত এত বড় ইন্টারন্যাশনাল মানের সিনেমা করতে কতটা পরিশ্রম ও আয়োজন রাখা উচিত। বেটার লোকেশনের জন্য কিছু শুটিং চেন্নাইতে করেছি। বাংলাদেশের অংশ শেষ করে তুরস্কে শুটিং করবো। সেখানে বাকি ৫০ শতাংশ শুটিং শেষ হবে। শুটিং শেষ না হলে বলা যাবে না ‘নেত্রী’ সিনেমার বাজেট আসলে কত!
সিনেমাটির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন তামিল পরিচালক উপেন্দ্র মাধব। অনন্ত জলিল বর্ষা ছাড়াও অভিনয় করছেন তামিল ভিলেন প্রদীপ রাওয়াত, তরুণ অরোরা, বাংলাদেশের কাজী হায়াত, লুবাবা প্রমুখ।