দুই উইকেটে ১৪৮ থেকে ১৭০ রানে নেই আট উইকেট। শেষ তিন ব্যাটসম্যান, যাদের আসল কাজটা বোলিংয়ে, সেই সানজামুল-মোস্তাফিজ-রুবেল হাল না ধরলে দুইশ’র আগেই থেমে যেতে পারত বাংলাদেশের ইনিংস। সেসময় ২৩ রানে ৭ উইকেট হারানোয় নিজেরও দায় দেখছেন ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হওয়ায় তামিম।
‘নিজেকে অনেক দায় দিবো। আমি প্রায় একশ বল খেলে ফেলেছিলাম ওই সময়। থিতু হওয়ায় বুঝতে পারছিলাম এই উইকেটে কীভাবে খেলতে হবে। দায়িত্ব ছিল সিনিয়র হিসেবে কমপক্ষে ৪৫ ওভার উইকেটে থাকা। যে সময় আমাদের রিয়াদ ভাই ও মুশফিক ভাই দুজনই আউট হয়ে গেছে। তখন যেকোনো নতুন ব্যাটসম্যানের ওখানে গিয়ে ব্যাট করা খুবই কঠিন ছিল।’
অবশ্য টেলের প্রচেষ্টায় শেষপর্যন্ত ২১৬ রানের পুঁজি পায় টাইগাররা। পরে বোলারদের দুর্দান্ত প্রদর্শনীতে ৯১ রানের বড় জয়েই মাঠ ছেড়েছেন মাশরাফীরা। সংবাদ সম্মেলনে তারপরও অবধারিতভাবেই উঠে এল ব্যাটিংয়ে আচমকা ধসের ব্যাপারটি।
‘যদি ক্রেমারের বল দেখেন, বড় টার্ন করছিল। একটা সোজা চলে যাচ্ছে, একটা টার্ন করে বেরিয়ে যাচ্ছে। নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য মোকাবেলা কঠিন। আমি ট্রিকটা মিস করেছি। যদি সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক রোটেট করতে পারতাম। আরও ৫-৬ ওভার খেলতে পারলে, এটা হত না হয়ত।’ ব্যাটিংয়ে ধস নিয়ে তামিমের উপলব্ধি।
প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং সহায়ক উইকেট পেলেও ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল। কঠিন উইকেটে জিম্বাবুয়ের বোলারদের সামনে সাকিবকে নিয়ে তামিম লড়ছিলেন দারুণভাবে। তাদের ১০৬ রানের জুটিতে ভাল সংগ্রহের পথেই ছিল বাংলাদেশ। মুশফিক এসেও জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। দলের রান যখন দেড়শ ছুঁইছুঁই, তখন মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহ দ্রুত সাজঘরে ফিরে গেলে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। এক ওভার পরেই ক্রেমারের বল এগিয়ে মারতে এসে স্টাম্পিং হন তামিম।
পরের তিন ব্যাটসম্যান সাব্বির, নাসির, মাশরাফীও ব্যর্থ হন। লেজের ত্রয়ী হাল না ধরলে বিপদে পড়তে পারত বাংলাদেশ। শেষপর্যন্ত বড় জয়ে বিপদ কাটানো গেলেও মিডলঅর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে ভাবার অবকাশ থাকছে টাইগার-শিবিরের।