ক্লাব ফুটবলে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগাল জার্সিতে ইউরো জয়ের স্বাদও পেয়েছেন। বিশ্বকাপটা ৩৮ বর্ষী মহাতারকার এখনও অধরা। আশার প্রদীপটা অবশ্য ভেতরে জ্বালিয়ে রেখেছেন। আবার এটিও জানালেন, কখনো সুযোগ পেলেও বিশ্বকাপ জিততে ইউরোপীয় ক্লাবে জেতা কোনো শিরোপা অদলবদলে নারাজ।
কোনো ব্যক্তি কথা বলার ক্ষেত্রে সত্য নাকি মিথ্যা বলছেন, সেটি নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয় লাই-ডিটেক্টর যন্ত্র। রোনালদোর শরীরে যন্ত্রটি ব্যবহার করে করা হয়েছিল বেশকিছু প্রশ্ন।
পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য নিজের অর্জিত ইউরোপীয় শিরোপা অদলবদল করতে চান কিনা- এমন প্রশ্নে রোনালদো বলেছেন, তা করবেন ‘না’। তখন লাই ডিটেক্টর যন্ত্র জানিয়ে দেয়, পর্তুগিজ মহাতারকা সত্য বলেছেন।
২০২৬ বিশ্বকাপ পর্তুগাল জিততে সক্ষম? রোনালদো উত্তর করেন- ‘হ্যাঁ।’ এটি অবশ্য রোনালদো মিথ্যা বলেছিলেন বলে যন্ত্রে ধরা পড়ে। এসময় ৩৮ বর্ষী সিআর সেভেন বলে ওঠেন, ‘কী হতাশাজনক, হুহ?’
ক্যারিয়ারের সেরা গোল কোনটি? উত্তরে আল নাসের ফরোয়ার্ড জানান, ২০১৭-১৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্টাসের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে অত্যাশ্চর্য বাইসাইকেল কিকে করা সেই গোলটি।
রোনালদো বললেন, ‘আমার এটা সেরা গোল। আপনি বলতে পারেন এটা সবচেয়ে কঠিন, সবচেয়ে সুন্দর।’ লাই ডিটেক্টর যন্ত্র অবশ্য জানিয়ে দেয়, রোনালদো এটিও মিথ্যা উত্তর দিয়েছেন!
আর কতদিন খেলতে চান? পর্তুগিজ মহাতারকা বলেছেন ৪০ বছর বয়স হলেও টেনে নেবেন ক্যারিয়ার। লাই ডিটেক্টর যন্ত্র তার উত্তরকে সত্য চিহ্নিত করে।
ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে পেশাদার ফুটবলে ৮৫০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন রোনালদো। ক্লাব ক্যারিয়ারে করেছেন ৭২৭ গোল, জাতীয় দলের হয়ে ১২৩টি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি এপর্যন্ত ৮১৮ গোল করেছেন। মেসির চেয়ে দুবছরের বড় হলেও রোনালদো এখনও দাপটে ফুটবল চালিয়ে যাচ্ছেন। তার গোলসংখ্যার রেকর্ড আর কেউ ভাঙতে পারবেন কিনা- সেটির উত্তরে সাফ বলে দেন- ‘না।’ লাই ডিটেক্টর যন্ত্র রায় দেয়, রোনালদোর কথা সত্যি।
রোনালদো নিজেকে তার সময়ের সর্বশ্রেষ্ঠ গোলস্কোরার হিসেবেও দাবি করেন। লাই ডিটেক্টর তার দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বলে দেয়- রোনালদো সত্যি বলেছেন!
বিজ্ঞাপন