২০০৮ সালের ‘দিনবদলের সনদ’, ২০১৪ সালের ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’, ২০১৮ সালের ‘সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’ এর পর আসন্ন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে– ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে উঠবে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
দেশের এক ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারে শেখ হাসিনার জন্ম। শৈশব থেকেই তিনি দেখেছেন তার পিতা বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব, সংগ্রামী জীবন এবং দেশ ও গণমানুষের রাজনীতি। যুক্ত হয়েছেন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনসহ বাঙালির অধিকার আদায়ের সকল লড়াই-সংগ্রামে।
সংসদ নির্বাচনের এই ইশতেহার ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, “আপনারা আমাদের ভোট দিন, আমরা আপনাদের উন্নয়ন, শান্তি ও সমৃদ্ধি দেব।”
একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে’ উত্তরণের স্বপ্ন দেখানো আওয়ামী লীগ উন্নত সমৃদ্ধ জাতির কাতারে পৌঁছানোর যাত্রা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এই নির্বাচনের ইশতেহারে।
সেজন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বাজারমূল্য ও আয়ের মধ্যে সঙ্গতি প্রতিষ্ঠা, দেশের রূপান্তর ও উন্নয়নে তরুণ ও যুবসমাজকে সম্পৃক্ত রাখা, পুঁজি পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ঘুষ-দুর্নীতি উচ্ছেদ, ঋণ-কর-বিল খেলাপি ও দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় এনে তাদের অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার অঙ্গীকার করেছেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা।
ইশতেহারে তিনি আরো বলেছেন, আওয়ামী লীগের হাতে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দেওয়া হলে এবং বিগত বছরগুলোতে নেওয়া দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠিত হবে।
জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চার মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে ২০০৯ সাল থেকে টানা তিনবার তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। কোনো সন্দেহ নেই যে, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ফের পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শেখ হাসিনা।
প্রায় ১৫ বছরের ক্ষমতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির জীবনযাত্রার মানের সবচেয়ে বড় উন্নতিতে অবদান রেখেছেন। চীন ও ভারতের প্রতিদ্বন্দ্বী স্বার্থকেও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও বিকাশের ওপর গুরুত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভায় গাজীপুরের কালিয়াকৈরে হাই-টেক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপর ২০০১ সালে নির্বাচনে হেরে গেলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ‘দিন বদলের’ ডাক দিয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নামক স্বপ্নের শুরু। সে নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহার ‘রূপকল্প ২০২১’ ঘোষণা করে।
সে ইশতেহারে ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। যদিও সে সময় বিরোধীরা ‘দিবাস্বপ্ন’ বলে উপহাস করেছিল।
তাদের চিন্তাধারাকে ভুল প্রমাণিত করে বাংলাদেশ আজ আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে বিপ্লব সাধন করেছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পেছনের গল্প বলতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আজ যেই ডিজিটাল বাংলাদেশে আমি আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। এটা জয়েরই ধারণা, জয়েরই চিন্তা। কারণ ৮১ সালে এসে যখন বার বার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করি। তখন বার বার আমাকে গ্রেপ্তার-গৃহবন্দি করা হয়েছে। তখন বাবার বন্ধু আজিজ সাত্তার কাকা জয় ও পুতুলকে স্কুলে ভর্তি করে দেন। স্কুল থেকেই জয় কম্পিউটার শিক্ষা নেয়। যখন ছুটিতে আসতো কম্পিউটার নিয়ে আসতো। জয়ের কাছ থেকেই আমি কম্পিউটার শিখেছি। ৯১ সালে যখন পার্টির জন্য অনেক দামে কম্পিউটার কিনি, তখনই আমরা আলোচনা করি, কীভাবে দেশে কম্পিউটার শিক্ষা শুরু করা যায়।
তিনি বলেন, ৯৬ সালে যখন আমরা সরকার গঠন করি, ছেলে জয় আমাকে পরামর্শ দিল কম্পিউটারের ওপর থেকে ট্যাক্স তুলতে হবে, দাম সস্তা করতে হবে। মানুষের কাছে সহজলভ্য করতে হবে, মানুষকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। তাহলেই মানুষ এটা শিখবে। সেভাবেই কিন্তু আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু।
বাংলাদেশে বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১৮ কোটি। ফলে সরকারি কোনো বিশেষ ঘোষণা মোবাইল ফোনের ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে সরাসরি ওইসব ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে বিশ্বের ৯ম দেশ হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভজি ইন্টারনেট চালু হয় ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর।
বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকরা অনলাইনে আবেদন করে দেশের ৬৪টি জেলায় স্থাপিত ই-সেবা কেন্দ্র থেকে জমিজমা সংক্রান্ত বিভিন্ন দলিলের সত্যায়িত অনুলিপি সংগ্রহ করতে পারে। বাংলাদেশে অনলাইন বেচাকেনা ও ই-বাণিজ্য ধারণার ব্যাপক বিস্তৃতির কারণে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ই-কমার্স সাইট।
সব শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক অনলাইনে সহজে পাওয়ার জন্য সরকারিভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ই-বই প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। নাগরিকদের কাছে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার বিভিন্ন স্থানে ‘টেলিমেডিসিন সেবাকেন্দ্র’ গড়ে তুলেছে। সরকারি হাসপাতালসমূহের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে যেকোনো তথ্য বা অভিযোগ মোবাইল ফোনে অথবা ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল অনলাইনে অথবা মোবাইল ফোনে পরিশোধ করতে পারেন। বর্তমানে প্রায় সব ট্রেন, বাস ও প্লেনের টিকিট অনলাইনে বা মোবাইলে সংগ্রহ করা যায়।
সরকারের বড় বড় উন্নয়নমূলক কাজে টেন্ডার নিয়োগের জন্য বর্তমানে ‘ই-টেন্ডার’ নামক বিশেষ ওয়েব পোর্টাল ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এব কাজে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দুর্নীতি হ্রাস পেয়েছে।
২০১৮ সালের ১২ মে মহাকাশে পাঠানো হয় বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’। একই সঙ্গে ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বাংলাদেশের ২য় কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু ২ তৈরি ও মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য রুশ প্রতিষ্ঠান গ্লাভকসমস এর সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণ করার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এর পথে যাত্রা শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার।
রূপকল্প ২০৪১-এর সমন্বিত পরিকল্পনার জন্য ২০১৫ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দেন। এ সময়ের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলারে উন্নীত করে উন্নত দেশে রূপান্তরে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে দারিদ্র্যকে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে দেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করা।
রূপকল্প ২০৪১-এর এ গুরুত্বপূর্ণ দুটি দর্শন বাস্তবায়নে কয়েকটি কৌশলগত লক্ষ্য ও বেশ কিছু কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট-এ চারটি মূল ভিত্তিকে কেন্দ্র করে সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু করেছে।
১৯৯৬ সালের ১২ জুন সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়। এ সময় ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তি এবং প্রতিবেশী ভারতের সাথে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিনবার ক্ষমতায় আসে। এসময় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকরসহ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম শুরু ও রায়ের বাস্তবায়ন, সমুদ্রে বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ভারতের সাথে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত স্থল সীমানা নির্ধারণ তথা ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পাদিত হয়। শেখ হাসিনার হাত ধরেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের পথে এগিয়ে যায় দেশ।
বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য নেতৃত্ব, সাহসিকতা, বলিষ্ঠ পদক্ষেপ এবং যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলেই বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু আজ উত্তাল পদ্মার বুকে জাতির গৌরবের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তিনিই আমাদেরকে বিশ্বদরবারে আত্মবিশ্বাসের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস এনে দিয়েছেন। পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নের পথ ধরে কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো বৃহৎ প্রকল্পসমূহ এখন এদেশের অহংকারের প্রতীক। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে তিনি অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। গৃহহীনদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা, সর্বজনীন পেনশন পদ্ধতি চালুসহ জনকল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করতে তিনি রূপকল্প ‘ভিশন ২০২১’ এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় ‘ভিশন ২০৪১’ কর্মসূচিসহ বাংলাদেশ ব-দ্বীপ মহাপরিকল্পনা (ডেল্টা প্ল্যান ২১০০) গ্রহণ করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গড়ে উঠবে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
করোনা মহামারির প্রভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়োচিত ও সাহসী পদক্ষেপের ফলে সরকার করোনার প্রভাব মোকাবিলা করে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এর মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হয়েছে। মহামারির প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট ও এর ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি সারা বিশ্বকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এবং সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব ও সঠিক সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ এ বৈশ্বিক সংকটও সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে যাচ্ছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে বাঙালি অর্জন করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য তার অব্যাহত সংগ্রাম, নির্ভীক ও দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং গভীর দেশপ্রেম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে স্বীকৃত। আদর্শ পিতার যোগ্য কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে আজ বাঙালি জাতি এগিয়ে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার পথে। শেখ হাসিনা তার পিতার মতোই গণমানুষের নেতা। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা, গতিশীল নেতৃত্ব, মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে শুধু দেশেই নন, বহির্বিশ্বেও তিনি অন্যতম সেরা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
দেশের এই সত্যিকারের বদলে যাওয়ার প্রধান রূপকারই হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘তলাবিহীন ঝুড়ির’ অপবাদকে চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বের সামনে উন্নয়নের রোল মডেল। জাতীয়-আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং নানা চড়াই-উতরাই ও অন্ধকারের যুগ পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন-সমৃদ্ধির মহাসোপানে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের নতুন সংযোজন স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে অনন্য উচ্চতায় আসীন হবে বাংলাদেশ।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)