মক্কা রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে এ বছর বাংলাদেশ থেকে সকল হজযাত্রীদের বিমানে ওঠার আগে বাংলাদেশেই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে সৌদি সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম।
তিনি আজ ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিশেষ সভায় এ ধন্যবাদ জানান। সভায় সৌদি হজ ও ওমরা বিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক বিন ফাউযান আল রাবিয়া সভাপতিত্ব করেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, এ বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২২ হাজার হজযাত্রী পবিত্র হজে অংশগ্রহণ করবে যাদের সকলের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন হচ্ছে। যা হজযাত্রীদের সৌদি আরবে আগমনকে ঝামেলামুক্ত ও নির্বিঘ্ন করেছে। হজ সংক্রান্ত অটোমেশন ও অনলাইন ব্যবস্থাপনা বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি প্রথম কয়েকটি হজ ফ্লাইটে আমাদের হজযাত্রীদের সাথে কথা বলেছি এবং তারা সবাই এই ব্যবস্থায় তাদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রতি বছর সুন্দরভাবে হজ আয়োজনের জন্য মুসলিম উম্মাহ, দুই পবিত্র মসজিদের হেফাজতকারী সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ও ক্রাউন প্রিন্স প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। মক্কায় সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তম সমাবেশ পরিচালনা করা একটি বিশাল দায়িত্ব। সৌদি আরব ভিশন-২০৩০ এর অধীনে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণ করেছে যা মানুষের হজ ও ওমরাহকে সহজসাধ্য ও আরামদায়ক করে তুলেছে।
সভার শুরুতে, সৌদি হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ২০২৩ সালের হজ্জ্ব ব্যবস্থাপনার ওপর একটি ব্রিফিং প্রদান করেন। ওআইসির এ সভায় বিভিন্ন দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা যোগ দেন। সভায় ওআইসির মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহা উপস্থিত ছিলেন।