বরিশাল-৫ আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপনের সমর্থকদের মারধর ও নির্বাচনী কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন সালাউদ্দিন।
প্রার্থী নিজেই সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ তুলে ধরেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন রিপন জানান, নৌকার কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় সাঁটানো আমার ট্রাক প্রতীকের পোস্টার খুলে ফেলেছে। রূপাতলী এলাকায় আমার পোস্টার ছেড়ার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের গণসংযোগে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ রায়পাশায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনী কাজ চলাকালে কর্মীসমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার শায়েস্তাবাদের লোহারপুল এলাকায় অনুমতি নিয়ে মিটিং করতে গেলে স্থানীয়রা পিকনিকপার্টি করে। পরে প্রশাসনের সহায়তায় পার্শ্ববর্তী মাঠে মিটিং করি। এই দিন টেক্সটাইল মোড়ে অনুষ্ঠিত মিটিংয়ে আসার সময় ভাটিখানায় অবস্থানকালে নেতাকর্মীদের মারধর করেছে।
সালাউদ্দিন রিপন আরও বলেন, শুক্রবার চরকাউয়ার কর্ণকাঠীতে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে মিটিং ছিল। কিন্তু স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমান লিটু এবং আবুল নামের একজনের নেতৃত্বে কিছু লোক তাতে বাধা দিয়েছে। তারা বলেছেন, এখানে নৌকা মার্কার কর্মী সভা হবে, অন্যকোন সভা হতে পারবে না। পরে বিষয়টি প্রশাসনের সহায়তায় মঞ্চ ছাড়াই মিটিং করেছি। এরবাইরেও বিভিন্ন এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের বাধা প্রদান করা হয়েছে। রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। মিটিংয়ে অংশ নিলে সরকারি ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধা ভাতার তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। ঝরঝরিয়াতলা এলাকায় একজন শ্রমজীবী সমর্থককে নৌকা মার্কার সমর্থকরা মারধর করেছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তে কর্নকাঠি গিয়েছিলেন। তদন্ত হয়েছে আরও তদন্ত শেষে ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্ধান্ত নিবেন। আমি এই ঘটনার প্রতিকার চাই। আমার কোন কর্মীর উপর হামলা বাধা বা আঘাত দেওয়া হয় সেই দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে। আমি এই বিষয়টি রিটার্নিং অফিসারের কাছে তুলে ধরবো। এই বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেবো। আমিও শেখ হাসিনার কর্মী। আমি নেত্রীর নির্দেশেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমি চাই সহাবস্থান।
বরিশাল ৫ আসনে নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, এসব অভিযোগ মনগড়া। আমরা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। কাউকে বাধা দেওয়ার মত সময় এখন নৌকার কর্মী-সমর্থকদের নেই।
বরিশাল জেলা রিটার্নিং কমকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, এই বিষয়ে তার লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।