পুরান ঢাকার সদরঘাট বাস স্ট্যান্ডে সাভার পরিবহনের কাউন্টারে ভাংচুরের অভিযোগে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। ওই কর্মকর্তার নাম আব্দুল মালেক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সহকারী রেজিস্ট্রার।
আজ শনিবার ২ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পুলিশ ফাঁড়ির পাশে অবস্থিত পরিবহনটির বাস কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আব্দুল মালেকের একটি বাসের নামে আগের দিন পুলিশ সার্জেন্ট মামলা দেন। সেই বিষয়ে তারা মিটিং ডেকেছিল। মামলার জন্য রেগে এসে মিটিংয়ের সময় বাসের মালিক আব্দুল মালেক কাউন্টারের চেয়ারে লাথি দিতে শুরু করে। একসময় তিনি কাউন্টারের চেয়ারগুলো রাস্তায় ফেলে দেয় এবং পরবর্তীতে কাউন্টারের লোকজনদের দিকে তেড়ে আসে। মিটিংয়ে উপস্থিত সকলে মিলে তখন আব্দুল মালেককে থামায়।
সাভার পরিবহনের সুপারভাইজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, আব্দুল মালেক আমাদের পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে আছেন। আগেরদিন রাস্তায় তার গাড়িতে পাঁচ হাজার টাকার মামলা দেয়া হয়। ওনার গাড়িকে কেন মামলা দেয়া হয়েছে ওই জেদটা কাউন্টারে এসে দেখিয়েছেন।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কাউন্টারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ ও মামলার প্রক্রিয়া শুরু করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে সুপারভাইজার জানান, বাসের এমডি, পরিচালক এবং অভিযুক্তকে বসার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে নেয়া হবে।
জানা যায়, আব্দুল মালেকের বাবার নামে দুইটি বাস (সাভার পরিবহন) রয়েছে এই স্ট্যান্ডে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির পাশাপাশি এই বাস ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভাংচুরের ঘটনা অস্বীকার করে আব্দুল মালেক বলেন, ভাংচুরের কোন ঘটনা ঘটে নাই। আমাদের গাড়ির ওপর মামলা দেয়া হয়েছে, কিন্তু তারা (ফুটপাতে বসা কাউন্টারের লোকজন) জোর করে বাসের ড্রাইভারের কাছ থেকে টাকা রেখে দিয়েছে। যেহেতু মামলা দেওয়া হয়েছে, তখন তো আর টাকা রাখতে পারে না। পরে আমি এটাই জানতে গিয়েছিলাম সেখানে। তবে ভাংচুরের কোন ঘটনা ঘটেনি সেখানে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, আজকের ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।