লক্ষ্মীপুরে বিয়ের দেড় মাসের মাথায় খুরশিদা বেগম (১৮) নামের এক নববধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামী ফজলুল করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ২ মে সকালে হাসপাতালে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে খুরশিদার স্বামী ফজলুল হক। এর আগে সোমবার রাতে শরবতের সাথে বিষপ্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
খুরশিদা বেগম জেলার কমলনগর উপজেলার চরলরেঞ্চ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জারিয়ার বাপের বাড়ি এলাকার জিয়াউর রহমানর মেয়ে। অভিযুক্ত স্বামী ফজলুল করিম সদর উপজেলার দালাল বাজার ইউনিয়নের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের বটতলী এলাকার জালাল আহম্মদের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি।
খুরশিদার স্বজনদের দাবি, ফজলুল করিম পারিবারিক বিরোধের জেরে শরবতের সাথে বিষ প্রয়োগ করে খুরশিদাকে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করেন তিনি।
মৃতের ভাই মুশফিকুর রহিম বলেন, দেড় মাস আগে পারিবারিকভাবে ফজলুল করিমের সাথে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর জানতে পারি, আমার বোনের স্বামী মাদকাসক্ত। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে ৭০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণ দিতে হয়েছে। আরও ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। কিন্তু সেটা দেওয়ার মতো আমাদের সাধ্য ছিল না।
মুশফিকুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাতে আমার বোনের সাথে তার স্বামীর ঝগড়া হয়। ওই রাতে তিনি মাদকসেবন করে ঘরে এসে আমার বোনকে মারধর করেন। আমার বোন তাকে মাদকসেবনে বাধা দেওয়ায় তিনি বোনের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে আমরা জানতে পারি, আমার বোন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছে। গিয়ে দেখি বোনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের ভাই, বোন এবং মা হত্যার দায়ে আসামীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, বিষপানে খুরশিদা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে তার স্বামী ফজলুল করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে আসামীর বিরুদ্ধে কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।