রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে বসা বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের ৪ জন নেতার বিরুদ্ধে।
দোকানীরা জানান, গত (৫ মার্চ) মঙ্গলবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশেবিদ্যালয়ের ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ একাডেমিক ভবন, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ একাডেমিক ভবন, পুরাতন শেখ রাসেল স্কুল মাঠ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বসা অন্তত ১৫টি ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে তারা চাঁদা আদায় করেছেন। দোকানভেদে ১০০ থেকে এক হাজার টাকা চাঁদা নেওয়া হয়েছে। তবে কেউ কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁদেরকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাদিক বলেন, এই রকম কোন ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত না। বরং আমি আর লাবন দোকানে দোকানে গিয়ে বলে এসেছি, আমার নামে কেউ চাঁদাবাজি করতে আসলে যেন আমাকে কল দেয়।
ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তামিম বলেন, গতকাল সারাদিন আমি জয় বাংলা বাইক সার্ভিস নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আজকেও সকাল থেকে কাজ করেছি। আমার নাম করে অন্য কেউ এ কাজ করতে পারে। এজন্য আমি দোকানীদেরকে সতর্ক করে এসেছিলাম। কেউ আমার নাম করে টাকা চাইতে আসে তাকে বেধে রেখে আমাকে কল দিবেন।
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবিদ আল হাসান লাবণ বলেন, আমি কয়েকদিন ধরে সারাদিন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ছিলাম। এর আগেও শুনেছি আমার নাম করে কেউ কেউ টাকা আদায় করেছে। তাই কয়েকজন দোকানীকে বলেছি, যারা আমার নাম করে চাঁদা নিতে আসে তাদের আঁটকে রেখে আমাকে কল দিতে।
আরেক ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদ বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আমি গতকাল সারাদিন সভাপতির সঙ্গে ছিলাম। জীবনেও আমি চাঁদাবাজি করি নাই। কেয়ামতের দিন হলেও প্রমাণ হবে আমি এক পয়সাও কোথাও থেকে চাঁদা নিইনি।
এ ব্যাপারে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, সাদিক, লাবণ ও তৌহিদের মধ্যে কেউ চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত নয়। তবে তামিম গেছে কিনা আমি জানি না। যদি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে কালকের মধ্যে তাদেরকে বহিষ্কার করা হবে।