এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের (৪৮ ব্যাচ) শিক্ষার্থী ওমর ফারুককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশেক মাহমুদ সোহানের বিরুদ্ধে।
সোহান বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলে থাকেন। তিনি বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী মো. ওমর ফারুক শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে মারধরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনার বিচার চেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্রও জমা দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মে রাত ৯টার দিকে ফারুক বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার একটি চায়ের দোকানে তার ২ জন বন্ধুর সাথে চা খাচ্ছিলেন। সেসময় ওই দোকানের বাহিরের দিকে আশেক মাহমুদ সোহানও বসে ছিলেন। তখন ফারুক দোকানের বাহিরের দিকে তাকালে সোহানকে দেখতে পান। এসময়, সোহান ‘এদিকে তাকায় আছোস ক্যান?’ বলে ফারুককে জিঙ্গেস করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর কিছুক্ষণ পর সোহান ও তার আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জন মিলে ফারুককে বেধড়ক মারধর করেন। এতে কানে, কপালে ও ঘাড়ে আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন ফারুক।
মো. ওমর ফারুক চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, প্রথম বর্ষে কামাল উদ্দিন হলে থাকাকালে বিভিন্ন সময় সোহান আমাকে র্যাগ দিতো। তার নির্যাতনের কারণে আমি কামাল উদ্দিন হল ছেড়ে ভাসানী হলে থাকি। এরপরও সে আমাকে দেখলে ফাঁফর দিতো এবং গালিগালাজ করতো। সর্বশেষ ২০ মে রাতে সে আমাকে ২০ থেকে ২৫ জন লোক দিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে। মারধরের কারণে আমি এখনো অসুস্থ। এ ঘটনায় আমি আশেক মাহমুদ সোহানসহ জড়িতদের শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে আশেক মাহমুদ সোহানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
তবে অভিযোগ পত্রের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রক্টর কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. সোহেল রানা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় মারধরের ঘটনায় একটি অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন ভুক্তভোগী। এ বিষয়ে প্রক্টর স্যার অবগত রয়েছেন। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন।